হুগলি, ১৯ আগস্ট:- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বঙ্গভঙ্গ রোধে ভাতৃত্বের বন্ধনে রাখি বন্ধন উৎসব চালু করেছিলেন। এই বন্ধনে যেমন ছিল মানুষে মানুষে সৌভাতৃত্বে বার্তা তেমনই ছিল নারীদের প্রতি সম্মান। আর জি করের ঘটনা নারিয়ে দিয়েছে গোটা সমাজকে। এখনো মানুষ পশুর মত আচরন করে। কর্মক্ষেত্রে নারীর সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেয় এই ঘটনা। নারী অধীকার নিয়ে আন্দোলন আলোচনা চলে ঠিকই তবুও এই সমাজের কিছু দুর্বৃত্ত কোথাও যেন নারীদের ভোগ্য পন্য রুপে দেখতে চায়। তার বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ। ঘড়ির মোরে বসে চাবি তৈরী করেন রবি পাল। দৃষ্টিহীন মানুষদের নিয়ে কাজ করেন। বিগত কয়েক বছর ধরে রাখি বন্ধন উৎসব করেন তাদের নিয়ে।
এবারের রাখি একটু আলাদা। রবি বলেন, আমার মা বোনেরা যাতে সুরক্ষিত থাকে সেই কথাই বলছি। আর জি করে যে বোনের অকাল মৃত্যু হয়েছে। সে ফিরবে না। তবে আাগামীতে রাজ্য তথা দেশে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে। দৃষ্টিহীন মানুষ যারা অসহায় ট্রেনে গান করেন। পৃথিবীর আলো তাদের চোখে নেই। এমন মানুষদের নিয়ে কাজে রবিকে সাহায্য করেন পুলিশ কর্মি সুকুমার উপাধ্যায়। তিনি বলেন, দৃষ্টিহীনদের সমস্যা অনেক। তারা অনেক সময় বাড়ি থেকে বেরোতে পারেননা। আজ রাখি বন্ধনের দিনে তাদের নিয়ে কিছুটা সময় কাটালাম। একে অপরকে রাখি বেঁধে দিয়ে ভাই বোনের সম্পর্ক আরো অটুট করতে চাইলাম।