হুগলি, ৩০ জুলাই:- হাওড়া গামী মুম্বই এক্সপ্রেসে যাত্রী ছিলেন হুগলির খামারগাছির দম্পতি। শ্যামাপ্রসাদ হালদার ও অঞ্জনা হালদার। তাদের বাড়ি হুগলির বলাগড়ের খামারগাছি মুক্তকেশি তলায়।অঞ্জনা হালদার চন্দননগর কমিশনারেটে কর্মরত।তার চিকিৎসার জন্য মুম্বাই যাচ্ছিলেন। ট্রেন দূর্ঘটনার খবরে উদ্বিগ্ন হয়ে পরেন যাত্রীদের পরিবার। শ্যামা প্রসাদ বাবুর দাদা রামপ্রসাদ হালদার জানান, দূর্ঘটনা পর তাকে ফোন করে খবর দেন তার ভাই। ভয়ে আতঙ্কে খুব কান্নাকাটি করছিল অঞ্জনা। পরপর রেল দূর্ঘটনা ঘটনায় ট্রেনে সফর করাই আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানান তিনি। শ্যামা প্রসাদ বাবু ফোনে জানান, তখন ভোর সারে তিনটে হঠাৎ ঝাঁকুনি আর প্রচন্ড শব্দে ট্রেনের কামরা হেলে পড়ল। তারা বি-২ কমারায় ছিলেম পিছনের দিকের মোট ১৮ টি কামরা লাইনচ্যুত হয়।
চক্রধরপুরের কাছে ওই লাইনের পাশে আরো একটি লাইন তৈরী হচ্ছে। সেই লাইনের নীচে গভীর খাদ। সেখানে পরে গেলে হতাহতের সংখ্যা হত বহু। শ্যামা প্রসাদ জানান, মুম্বাই এক্সপ্রেস বাঁদিকের লাইন দিয়ে যাচ্ছিল। ডান দিকের লাইনে ছিল একটি মালগাড়ি। সেই মালগাড়ির উপরে প্লাস্টিক ঢাকা ছিল। প্লাস্টিক উড়ে মুম্বই এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের সামনে চলে আসে। কিছু দেখতে না পেয়ে সম্ভবত ব্রেক কষেন চালক। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আহত নয় এমন যাত্রীদের চক্রধরপুর পর্যন্ত একটি ট্রেনে পৌঁছে দেওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের বিকল্প ট্রেনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা গেছে।