এই মুহূর্তে জেলা

চন্দননগরে পিসির বাড়ি বেড়াতে এসে নিখোঁজ বালক। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তদন্তে পুলিশ।

হুগলি, ২৫ জুলাই:- পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চন্দনগরের সুরেরপুকুরে বাসিন্দা ঝন্টু পাশোয়ান, স্ত্রী সঞ্জু দেবীকে নিয়ে তার শ্বশুর বাড়ি বিহারের বৈশালী জেলার পাতেপুর থানার বওহারা গ্রামে গিয়েছিলেন গত সপ্তাহে। গত রবিবার গঙ্গাসাগর এক্সপ্রেসে চন্দননগর ফেরেন তাঁরা। ঝন্টুর সঙ্গে তার শ্বশুর শ্বাশুড়ি চন্দননগরে আসেন চোখের ডাক্তার দেখাতে। দাদু ঠাকুমার সঙ্গে চন্দননগর আসবে বলে বায়না ধরে সাত বছরের রোহন কুমার পাশোয়ান। দাদু মহিন্দর পাশোয়ান নাতিকে নিয়ে আসেন সঙ্গে করে। গত মঙ্গলবার সকাল সারে নটা নাগাদ পিসি সঞ্জু দেবীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে পরে রোহন। এলাকার সিসি ক্যামেরায় ধরা পরে সে সুরেরপুকুর রোড দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। তার পর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। রোহন বাংলা জানেনা, ভোজপুরি ভাষা জানে।

চন্দননগরের পথ ঘাট চেনেনা।কোথায় গেলো! বুঝে উঠতে পারছে না পরিবার। ছেলে নিখোঁজ হয়ে গেছে খবর পেয়ে আজ বিহার থেকে চদননগর এসে পৌঁছান রোহনের বাবা সঞ্জয় পাশোয়ান মা রেখা দেবী। দাদুর সঙ্গেই এসেছিল ছোটো নাতি। সেই নাতি হারিয়ে যাওয়ায় হাউ হাউ করে কাঁদতে থাকেন দাদু। চন্দননগর থানায় নিখোঁজ ডায়রি হওয়ার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। বিহার থেকে আসা বালকের বাবা মা দাদুর সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারী অফিসার সুবল বিশ্বাস। গ্রামের বাড়িতে খাটালে কাজ করেন রোহনের মা বাবা। তাদের চার সন্তান। রোহন সবচেয়ে ছোটো। দুদিন হয়ে গেলেও নিখোঁজ বালকের খোঁজ মেলেনি। কাছাকাছি রেল স্টেশন চন্দননগর চুঁচুড়া ব্যন্ডেলের সিসি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি রেল পুলিশ জিআরপি কেও নিখোঁজ বালকের সম্পর্কে জানানো হয় চন্দননগর পুলিশের পক্ষ থেকে।