এই মুহূর্তে জেলা

খুনের অভিযোগে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড গুড়াপের যুবকের , চুঁচুড়া আদালতে হয় রায় ঘোষনা।

হুগলি, ২২ জুলাই:- গুড়াপ থানার কাঁটা গড়িয়া গ্রামে ১৪ বছর আগে গত ২০১০ সালের ৪ ঠা ফেব্রুয়ারী খুন হন সেখ ইব্রাহিম(৪৫)। জানা যায়, মহরম আলির সঙ্গে পুরোনো গন্ডোগোল ছিল তার। ঘটনার দিন বিকালে নামাজ পরে ফিরছিলেন ইব্রাহিম। সেই নামজই শেষ নামাজ ছিল তার। রাস্তায় কাটারি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল মহরম আলি। ইব্রাহিম কাছে আসতেই কাটারি নিয়ে তার উপর ঝাঁপিয়ে পরে। এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সেখ ইব্রাহিমের। ইব্রাহিমের দাদা বাধা দিতে গিয়ে ভয়ে পিছিয়ে আসেন। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। মৃতের ভাইপো ফিরোজ মামুদ অভিযোগ দায়ের করেন গুড়াপ থানায়। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। ৩০২ ধারায় মামলা রুজু হয়। ১৮ জুলাই ২০১০ সালে এই মামলায় চার্জ শীট দাখিল করে তদন্তকারীরা। মোট তেরো জনের স্বাক্ষ গ্রহন করা হয়। গত বৃহস্পতিবার হুগলির প্রথম দায়রা আদালতের বিচাররক সঞ্জয় শর্মা অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন।

আজ তিনি চুড়ান্ত রায় দান করেন। সরকারী পক্ষের আইনজীবী হিসাবে ছিলেন সুব্রত গুছাইত। তিনি অন্য একটি দায়িত্বে চলে যাওয়ায় হুগলি জেলা আদালতের মুখ্য সরকারী আইনজীবী শঙ্কর গাঙ্গুলী মামলায় সওয়াল করেন। পিপি জানান, আজ শেষ শুনানীর সময় আমি উল্লেখ করি কি নৃশংস ভাবে সেখ ইব্রাহিমকে খুন করা হয়েছিল। এটা বিরলতম ঘটনা। যদিও বিচারক তা মানেননি। অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন তিনি। ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের জেল। মৃতের স্ত্রীকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে সালসাকে নির্দেশ দেন। এই মামলায় অভিযোগকারী ফিরোজ মামুদ বলেন, আমার কাকাকে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল। কাকার কোনো অপরাধই ছিল না। তাই অভিযুক্তের ফাঁসি হলে আমরা আরো খুশি হতাম। আদালত ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করাই খুশি হয়েছি। কাকিমার আমরা ছাড়া আর কেউ নেই।