এই মুহূর্তে জেলা

মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশের পরেই পুকুর ভরাট বন্ধ হল কানাইপুরে।

হুগলি, ১০ জুলাই:- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশকে উপেক্ষা করেই কানাইপুর বড়বহেড়া এলাকায় দিনে দুপুরে চলছে পুকুর ভরাট। পঞ্চায়েত প্রশাসন সবার নির্দেশকে উপেক্ষা করেই স্থানীয় বাসিন্দা বঙ্কিম দাস করে চলেছে পুকুর ভরাট। জানতে পেরেই ভরাট বন্ধ করালো পঞ্চায়েত। এদিন সকালে বড়বহেড়া এলাকায় দেখা যায় ভ্যানে করে বাইরে থেকে মাটি এনে চলছে পুকুর ভরাটের কাজ। যেটা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকার বাসিন্দারা। এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ দাস বলেন, তিনি ছোট বেলা থেকে দেখে আসছেন এখানে একটা বড় পুকুর রয়েছে। কিন্তু কিছুদিন আগে থেকেই মাঝে মধ্যেই সবার অলক্ষ্যে মাটি এনে এই পুকুরটা ভরাট করার কাজ চালাচ্ছে জমির মালিক বঙ্কিম দাস। সে করো কথাই শোনে না আর মানেও না। আগেও একবার পঞ্চায়েত থেকে লোক এসে ভরাট করার কাজ বন্ধ করেছিল কিন্তু আজ আবার অনেকগুলো ভ্যানে করে মাটি এনে পুকুর ভরাটের কাজ করছে। প্রশাসনের উচিৎ এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া। এই পুকুর ভরাটের বিষয়ে জমির মালিক বঙ্কিম দাস বলেন, তার এটা বাস্তু জমি এখন জলা হয়ে আছে তাই তিনি এটা ভরাট করছেন।

আর তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান থেকে সব প্রশাসনিক জায়গায় জানিয়েই এই ভরাট করার কাজ করছেন। কিন্তু জলা জমি ভরাট করা বেআইনি এই প্রশ্নের উত্তর তিনি দিতে চায়নি। কিন্তু মালিকের বক্তব্য অস্বীকার করে কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভবেশ ঘোস বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ আছে কোথাও কোনো পুকুর বা জলা জমি ভরাট করা যাবেনা। কিন্তু আমরা ওখানে পুকুর ভরাট হওয়ার খবর পেয়েই কাজ বন্ধ করিয়ে দিয়েছি। আর মালিককে আমরা দেখা করতে বলার পরেও ওই জমির মালিক আমাদের সাথে দেখা করেননি। পুকুর ভরাট আমরা সমর্থন করিনা। যদিও এই বিষয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি, বিজেপি মন্ডল সভাপতি রাজেশ রজক বলেন, তৃণমূল জামানায় টাকা দিলেই সব কাজ হয়ে যায়।আর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ এদের দলের লোকরাই মানেনা। সবটাই কাটমানি নিয়ে বেআইনি কাজ চলে। তবে এলাকার বাসিন্দাদের দাবি অবিলম্বে এই বেআইনি কাজ সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক প্রশাসন।