এই মুহূর্তে কলকাতা

সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী, মধ্যবিত্তকে কিছুটা স্বস্তি দিতে ১১টি ভ্রাম্যমান সুফল বাংলা বিপনী।

কলকাতা, ২৬জুন:- শাকসবজি ও আনাজের উর্ধ্বমুখী বাজারদরের প্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষকে কিছুটা রেহাই দিতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের ৪৬৮ সুফল বাংলা স্থায়ী ও ভ্রাম্যমান বিপণী থাকে বাজারদরের তুলনায় গড়ে ১০ থেকে ২০ শতাংশ কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় ক্রেতাদের সুবিধাদিতে লেক মার্কেট এর কাছে এবং সল্টলেক সহ রাজাহাট নিউ টাউন এলাকায় আরো ১১ টি অতিরিক্ত সুফল বাংলা ভ্রাম্যমান বিপণী খুলেছে কৃষি বিপণন দফতর। পরিস্থিতির বিচার করে আগামী দিনে বিপনির সংখ্যা আরো বাড়ানোরও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে দফতরের তরফে।

প্রবল গরম ও বৃষ্টিপাতের অভাবে শাক-সবজির উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। যার প্রভাব পড়েছে বাজারদরে। হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে শাক-সবজির দাম। লাউ-বেগুন থেকে শুরু করে টমেটো-লঙ্কা, প্রতিটি সবজিরই দাম প্রায় ১০০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি, বাজারে এলেই টান পড়ছে তাঁদের পকেটে। ১ কেজি আলুর দাম পৌঁছে গিয়েছে ৩২ টাকায়। পাশাপাশি, টমেটোর দাম ঘোরাফেরা করছে প্রতি কেজিতে ১০০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে। এদিকে, লাউ এবং বেগুনের দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে যথাক্রমে ৮০ ও ৭০ টাকা। করলা এবং ঢেঁড়সের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে যথাক্রমে ১২৮ শতাংশ ও ১৪০ শতাংশ। এখন সেগুলির দাম প্রতি কেজিতে ৮০ ও ৬০ টাকা। অপরদিকে, পেঁয়াজের দাম একলাফে ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি কেজিতে পৌঁছে গিয়েছে ৪৫ টাকায়।

এমন পরিস্থিতিতে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম পর্যবেক্ষণের জন্য রাজ্য সরকার দ্বারা গঠিত টাস্ক ফোর্স ও বাজারে অভিযান চালাবনোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে জানিয়েছেন সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। এবং শীঘ্রই বাজারে হানা দেওয়া হবে। পাশাপাশি, তিনি আরও জানান যে, “আমরা আশা করছি আসন্ন বর্ষার সাথেই এই সমস্যার বেশিরভাগ সমাধান হয়ে যাবে।” তাঁর মতে, “এখন সুফল বাংলার স্টলে সবজি বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু সেখানেও দাম রয়েছে বেশি। এরপরে এই পরিস্থিতি যাতে বেশিদিন ধরে বজায় না থাকে তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।”