হুগলি, ২৫ জুন:- প্রায় তিন কোটি টাকার সাইবার প্রতারণা চক্রের পর্দাফাস করলো পুলিশ।গরীব পরিবার থেকে ফিল্মি কায়দায় উত্থান অভিযুক্তের।গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কানাইপুর ফাঁড়ির পুলিশের সহায়তায় হুগলি জেলার কোন্নগর এর কানাইপুর কলোনি শহীদ বেদী এলাকা থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করলো লালবাজার পুলিশ।ধৃতের নাম রাহুল গুপ্তা।বয়স আনুমানিক ৩০ থেকে ৩২ বছর।এলকা সূত্রে জানা গেছে রাহুল গুপ্তার বাবা কলকাতা বড় বাজারে কাপড়ের দোকানে কাজ করে পরিবারে দারিদ্রতা থাকলেও রাহুলের ছোট থেকেই ছিল উচ্চাকাঙ্ক্ষা।আর এই উচ্চাকাঙ্ক্ষা মেটাতেই রাহুল এই প্রতারণার সাথে যুক্ত হয়েছে বলেই মনে করছে এলাকার বাসিন্দারা।
তবে ছেলের এই কাজের বিষয়ে কিছুই আগে বুঝতে পারেনি বলেই দাবি রাহুলের মায়ের।রাহুলের মা বলেন,ছেলে কলকাতার একটি কোম্পানিতে চাকরি করেই বলে জানতাম।কিছুদিন আগে নবগ্রাম এলাকায় একটা ফ্ল্যাটও কিনেছে লোন নিয়ে।কিন্তু এত বড় প্রতারণার সাথে কিভাবে জড়িয়ে পড়লো কিছুই বুঝতে পারছিনা।তবে ছেলে একা নিশ্চই নয় এর সাথে আরো অনেকে জড়িত থাকতে পারে।কিন্তু তাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থার মধ্যে ছেলের এই বিলাসিতা কি একটু সন্দেহজনক মনে হয়নি?এই প্রশ্নের উত্তরে রাহুলের মা বলেন ছেলের অনেক শখ ছিল ঠিকই কিন্তু আমরা ভেবেছি ছেলে কলকাতা ভালো কোম্পানিতে চাকরি করে তাই সেই টাকায় এসব করছে। পুলিশ সূত্রে জানতে পারা গেছে,প্রায় তিন কোটি টাকার সাইবার প্রতারণার তদন্ত শুরু করে রাহুল গুপ্তার কথা জানতে পারে লালবাজার পুলিশ।
এটাও জানতে পারা গেছে এই তিন কোটি টাকা প্রতারণার ঘটনায় রাহুলের ভাগ ছিল ৮০ লক্ষ টাকা।এছাড়াও রাহুলের বেনামী কোম্পানি সহ বহু ব্যাংক একাউন্টের হদিস পাওয়া গেছে বলেই পুলিশ সূত্রের খবর।এই ঘটনায় রাহুল গুপ্তার প্রতিবেশী তথা এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য দীপক রঞ্জন সরকার বলেন,রাহুলকে ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি।ওর বাবা কাপড়ের দোকানে কাজ করলেও ছেলেটির খুব উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল।তবে ইদানিং প্রায় দেখতাম নতুন ফ্রিজ,নতুন এসি,নতুন গাড়ি কিনছে।সেটা অবশ্য সন্দেহ লাগলেও কেউ কখনও রাহুলকে কিছু জিজ্ঞেস করেনি।তবে গতকাল এত পুলিশ এসে ওকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর জানতে পারলাম রাহুল এই এত বড় সাইবার প্রতারণার সাথে যুক্ত।