এই মুহূর্তে কলকাতা

দুই মেদিনীপুরের দুই উন্নয়ন পর্ষদের কাজে অখুশি মমতা, নতুন করে কাজ খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত।

কলকাতা, ২৪ জুন:- রাজ্য সরকার বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন এলাকা উন্নয়ন পর্ষদের ভূমিকা নতুন করে খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোমবার নবান্নে পুর বৈঠকে এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে তিনি দীঘা – শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ এবং হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন দীঘা এবং হলদিয়ার উন্নয়নের জন্য এখন সেখানে পুরসভা রয়েছে। পঞ্চায়েত রয়েছে, জেলাশাসক রয়েছে। উন্নয়ন পর্ষদ গুলিতে বিপুল সংখ্যক লোক ও পরিকাঠামো থাকলেও সকলে ঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে না। বরং সরকারি অর্থের অপচয় হচ্ছে।

সভায় সকলের সামনে মুখ্যমন্ত্রী একরাশ বিরক্তি প্রকাশ করেন প্রশ্ন তোলেন দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে। তিনি বলেন, “দিঘা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির প্রয়োজন আছে কি এখন আর? ওখানে তো পুরসভাও আছে, পঞ্চায়েতও আছে, জেলাশাসকও আছেন। বিরাট বাড়ি বানিয়ে ৪০০-৫০০ লোক… কারও গা টিপছে, কারও পা টিপছে, কারও মাথা টিপছে। বড় বড় বিল্ডিং করে থাকছে, আরাম করছে। যেখানে সরকারের স্টাফ কম, সেখানে তাঁদের কাজে লাগিয়ে দাও।”

এই প্রসঙ্গে নগরোন্নয়ন দফতর ও তার সচিবের ভূমিকাও মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে। তিনি বলেন,“আরবান ডিপার্টমেন্টের সেক্রেটারি, কী কাজ তাঁর? ডিপার্টমেন্টরা রাখারই দরকার কী? কতগুলি বোর্ড রেখে দিয়েছেন, ৪০০-৫০০ করে লোক রেখে দিয়েছে। গা টিপছে, না পা টিপছে?” শুধু দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদই নয়, হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ নিয়েও একই মত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর কথায়, ‘হলদিয়াতেও তো পুরসভা রয়েছে। লাভ কী হল?’মুখ্যসচিবকে পুনরায় এই উন্নয়ন পর্ষদ গুলির প্রয়োজনীয়তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রয়োজন না থাকলে আগামী দিনে এই উন্নয়ন পর্ষদ গুলি ভেঙে দেওয়া হবে বলেও মুখ্যমন্ত্রী এদিন ইঙ্গিত দেন।