এই মুহূর্তে জেলা

বাঁশবাড়িয়ায় পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অবস্থান বিক্ষোভ দলেরই ১৪ কাউন্সিলরের।

হুগলি, ২২ জুন:- অচলাবস্থা শুরু হল বাঁশবেড়িয়া পুরসভায়। পুরপ্রধান আদিত্য নিয়োগীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, কাজ করতে না দেওয়া, মহিলা কাউন্সিলরদের প্রতি অভব্য আচরণ প্রভৃতি অভিযোগ এনে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বসেন ১৪ জন তৃণমূল কাউন্সিলর। তাঁদের মধ্যে একাধিক পুর পারিষদ সদস্যও রয়েছেন। এ দিন বেলা পৌণে বারোটা নাগাদ তাঁরা পুর ভবনের দ্বিতলে পুরপ্রধানের ঘরের সামনে অবস্থানে বসেন। তাঁদের হাতে ছিল দাবি দেওয়া সম্বলিত প্ল্যাকার্ড। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে পুরপ্রধান বেশিরভাগ কাউন্সিলরকে কাজ করতে দিচ্ছেন না।

পাশাপাশি প্রায় সকলের সঙ্গেই অভব্য আচরণ করছেন। সাধারণ মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না। যার ফলস্বরুপ সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে এই পুর এলাকায় তৃণমূলের ভরাডুবি হয়েছে বলে তাঁদের দাবি। উল্লেখ্য, পুরসভার ২২ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএমের কাউন্সিলর এবং বাকি ২১ টিতেই তৃণমূলের কাউন্সিলর থাকা সত্ত্বেও শাসক দল ১১ হাজারের বেশি ভোটে পিছিয়ে রয়েছে। অবস্থারত কাউন্সিলরদের দাবি, উপ-পুরপ্রধান শিল্পী চ্যাটার্জিকেও বারবার পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হলেও কোনও কাজ হয়নি।

দিন কয়েক আগে পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অমিত ঘোষ জলের দাবি মেটাতে এলাকাবাসীদের নিয়ে দীর্ঘক্ষণ পুরপ্রধানকে দফতরের ভিতরে ঘেরাও করে রেখেছিলেন। এ দিনের অবস্থানে অবশ্য অমিত ছিলেন না। পুরসভায় আসেননি আদিত্য কিংবা শিল্পীও। যদিও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ এসে উপস্থিত হয়। দল অবিলম্বে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ না করলে সোমবার এবং তারপর নিজেদের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান। যদিও এই মুহূর্তে পুরপ্রধান কিংবা উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার মত সিদ্ধান্ত তাঁরা নেননি বলেই জানান। ঘটনায় আদিত্য কিংবা শিল্পীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।