কলকাতা, ১৫ জুন:- প্রাকৃতিক দুর্যোগে সিকিমে আটকে থাকা পর্যটক ও তাঁদের পরিবাররে জন্য হেল্পলাইন চালু করল রাজ্য সরকার। লাগাতার ভারী বৃষ্টি এবং ধসের কারণে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উত্তর সিকিমে হাজারের বেশি পর্যটক এখনও আটকে রয়েেছেন। প্রতিকূল আবহাওয়ায় ব্যহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। আটকদের উদ্ধারে আগেই সিকিম সরকারের সঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এবার চালু করা হল হেল্পলাইন ডেস্ক। সাহায্যের জন্য দুজন আধিকারিকের ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে। এগুলি হল- রবি বিশ্বকর্মা (৮৭৬৮০৯৫৮৮১) এবং পুষ্পজিৎ বর্মণের (৯০৫১৪৯৯০৯৬) মোবাইল নম্বর। প্রসঙ্গত সিকিমে আটকে থাকা পর্যটকদের জন্য আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টেলিফোনে উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক আধাকারিকদের কাছ থেকে ঘটনার খবরও নেন। আগাগোড়াই পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে নবান্ন। সিকিম প্রশাসনের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। রাজ্যে পর্যটন দফতরের কর্তারা নিয়মিত রাজ্যের পর্যটকদের বিষয়ে তথ্য পাঠাচ্ছে রাজ্য সরকারের কাছে। সব পর্যটককে যাতে নিরাপদে ফিরিয়ে আনা যায় সেবিষয়ে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারী বৃষ্টিপাত এবং একের পর এক ধসের জেরে বিপর্যয় নেমে আসে সিকিমে। ধস নেমে সেতু ভেঙে লাচুং, লাচেন-সহ সিকিমের বহু এলাকার সঙ্গে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বেগ পেতে হচ্ছিল উদ্ধারকাজেও। সূত্রের খবর, পুরোটা না হলেও সিকিমের কিছু এলাকায় রাস্তা থেকে ধ্বংসস্তূপ সরানো হয়েছে। আটকে থাকা পর্যটকদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন প্রশাসনের কর্মীরা। প্রশাসনের দাবি, পর্যটকরা সকলেই সুস্থ রয়েছেন। ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে উত্তরবঙ্গেও। বিপর্যস্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। তবে কালিম্পংয়ের মানসং থেকে ১৭ মাইল, গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি যাতায়াতের একটি পথ রয়েছে। তিস্তা ভ্যালি হয়েও অপর একটি রাস্তা রয়েছে। ওই দুটি রাস্তা দিয়ে সিকিমে আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে দুই রাজ্যের প্রশাসন। এছাড়াও আকাশপথে পর্যটকদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে আবহাওয়া ভাল না হলে তা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে প্রশাসন।