এই মুহূর্তে জেলা

জামাইষষ্ঠীর দিনেই ঘটা করে বউমা ষষ্ঠীর আয়োজন হাওড়ায়।

হাওড়া, ১২ জুন:- কর্মসূত্রে ছেলেরা থাকেন বিদেশে, জামাইষষ্ঠীর দিনেই তাই ঘটা করে বউমা ষষ্ঠীর আয়োজন কুলগাছিয়ার আদক পরিবারে। বউমা ষষ্ঠী পালন করলেন শাশুড়ি। অভিনব এই আয়োজন হাওড়ার কুলগাছিয়ায়। রীতি অনুযায়ী প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে পালন করা হয় জামাইষষ্ঠী। বিবাহিত মেয়ে ও জামাইদের বাড়িতে আমন্ত্রণ করে ওই বিশেষ দিনে খাওয়ানো ও উপহার তুলে দেওয়ার রীতি রয়েছে। জামাইদের মঙ্গল কামনা করে জামাইষষ্ঠীর প্রাচীন রীতির পাশাপাশি গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন জায়গায় চালু হয়েছে বউমা ষষ্ঠীও। এক্ষেত্রে মেয়েদের অর্থাৎ বউমাদের মঙ্গল কামনা করে বউমা ষষ্ঠী পালন করা হয়। জামাইষষ্ঠীর দিনেই পালন করা হয় এই বিশেষ বউমা ষষ্ঠী। বাড়ির বৌমাদের নিয়ে ষষ্ঠীর আয়োজন করেন শাশুড়ি। প্রসঙ্গত, পুত্র সন্তানের মঙ্গল কামনায় জামাইষষ্ঠী পালন করার রীতি চলে আসছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে এই প্রথায় কোথাও যেন মেয়েরা ব্রাত্য হয়ে থেকে যায়।

এই কারণেই গত বছরই প্রথা ভেঙে বউমা ষষ্ঠীর আয়োজন করেছিলেন কুলগাছিয়ার আদক পরিবার। চলতি বছরে দ্বিতীয় বর্ষের এই বউমা ষষ্ঠীর আয়োজন করেন শাশুড়ি চম্পা আদক। জামাইষষ্ঠীর ন্যায় সমস্ত লোকাচার মেনে বরণ পর্ব এবং শাড়ি ও হাত খরচও দেওয়া হল বাড়ির বউমাদের।এদিন বউমাদের জন্য আম, লিচু, দই সহ বিভিন্ন রকম ফল ছাড়াও লুচি, ঘুগনি, পাঁচরকম মিষ্টি এবং প্রাণ ভরে আশীর্বাদও করেন শাশুড়ি। বউমাষষ্ঠী প্রসঙ্গে শাশুড়ি চম্পা আদক জানান, বাড়ির ছেলেরা কর্মসূত্রে বিদেশে থাকার জন্য বাড়ির বউমা’দের আর বাপের বাড়ি যাওয়া হয়ে ওঠেনা। সে কারণেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। তিনি আরও বলেন, তাঁর স্বামীও এই বিষয়ে যথেষ্টই সহযোগিতা করেন। তাই দ্বিতীয় বর্ষের এই আয়োজন।এর পাশাপাশি তিনি বলেন, যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন বউমা ষষ্ঠী পালন করে যাবেন। শাশুড়ির এই অভিনব বউমা ষষ্ঠী পালনে খুশি মন্দিরা, ববিতা ও প্রতিমা আদক। বলাই বাহুল্য দিন দিন জনপ্রিয়তা লাভ করছে এই বউমা ষষ্ঠী।