এই মুহূর্তে কলকাতা

বঙ্গোপসাগরে দানা বাঁধছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল।

কলকাতা, ২২ মে:- বঙ্গোপসাগরে দানা বাঁধছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। ষষ্ঠ দফার লোকসভা ভোটের দিনেই দুর্যেোগের সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় বাড়তি আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। দুর্যোগ মোকোবিলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে আগেভাগেই। আসন্ন দুর্যোগ মোকাবিলারর প্রস্তুতি নিয়ে বুধবার নবান্ন উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা। সমস্ত জেলার জেলাশাসকেরা বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন। আবহাওয়া দফতর ২৫ তারিখ থেকে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাষ দিয়েছে। সেখথা মাথায় রেখেই বৃহস্পতিবার থেকেই জেলায় জেলায় আলাদা আলাদা করে কন্ট্রোল রুম চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য সচিব। সাম্প্রতিক কালে বজ্রপাতে রাজ্যে বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এরকম ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য জেলা শাসকদের নিবিড় প্রচার চালানরও নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যসচিব। উপকূল অঞ্চলে বাঁধগুলির পরীক্ষা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে স্থানীয় এসডিওদের।

কলকাতায় জল জমলে তা বার করার জন্য পাম্প মজুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুরসভার কমিশনারকে। উপকূল অঞ্চলে পর্যটকদের সতর্ক করতেও ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাষ নিয়ে প্রচার করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। এদিকে দুর্যোগের আবহে ভোটগ্রহণ নিয়ে এদিন উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশনও। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব সহ কমিশনের কর্তারা ওই সব জেলার জেলাশাসক, রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর ও আবহাওয়া দফতরের কর্তাদের সঙ্গে এদিন বৈঠক করেন। পঞ্চম দফা ভোটের দিন দুর্যোগের সময় বিদ্যুৎ চলে গিয়ে বেশ কিছু কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ ব্যহত হয়েছিল। ওই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার ভোট কেন্দ্রে ইমারজেন্সি লাইট মজুত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। ঝড়বৃষ্টির জন্য আগাম সতর্কতা হিসাবে পর্যাপ্ত ত্রিপল মজুত রাখারও পরামর্শ দিয়েছে কমিশন। বিদ্যুৎ নিয়ে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য ৬ জেলার জেলা শাসকদের বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়বৃষ্টিতে ভোটকেন্দ্রে জল জমে গেলে যাতে দ্রুত বের করে দেওয়া যায় সে ব্যবস্থাও তৈরি রাখতে বলা হয়েছে।