এই মুহূর্তে কলকাতা

চতুর্থ ও পঞ্চম দফায় সংকটপ্রবণ ভোট কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ কমিশনের।

কলকাতা, ৯ মে:- চতুর্থ এবং পঞ্চম দফায় রাজ্যের ক্রিটিকাল বা সংকট প্রবণ ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। ওই দুই পর্বে দক্ষিণবঙ্গের ৮ জেলার ১৫টি লোকসভা আসনে ভোট নেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী চতুর্থ দফায় ৮ লোক সভা কেন্দ্রের মোট ১৫ হাজার ৫০৭টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩৬৪৭ টিকে সংকট প্রবণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে বোলপুর কেন্দ্রে সর্বাধিক ৬৫৯ টি ভোট কেন্দ্র সংকট প্রবণ। সবথেকে কম সংকট প্রবণ ভোট কেন্দ্র রয়েছে বর্ধমান পূর্বে- ৩০১ টি। এছাড়া বীরভূমের ৬৪০, বহরমপুরে ৫৫৮, বর্ধমান দুর্গাপুরে ৪২২, রানাঘাটে ৪১০, কৃষ্ণনগরের ৩৩৮, আসানসোলে ৩১৯ টি ভোটকেন্দ্রকে সংকট প্রবন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। একই রকম ভাবে পঞ্চম দফার সাত লোকসভা আসনের ১৩ হাজার ৪৮১ ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৭ হাজার ৭১১টিকে সংকট প্রবণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে। এই পর্বে সর্বাধিক সংকট প্রবণ ভোট কেন্দ্র রয়েছে হুগলিতে- ১৭৮৭টি।

সব থেকে কম সংকট প্রবণ ভোটকেন্দ্রে রয়েছে বনগাঁয়- ৫৫০ টি। এছাড়া আরামবাগের ১৭৭০, শ্রীরামপুরের ১২৩৬, ব্যারাকপুরে ১০৫৯ উলুবেরিয়ায় ৬৯৪ এবং হাওড়ায় ৬০৫ টি ভোট কেন্দ্র সংকট প্রবণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। কমিশনের বিধিমাফিক কোনও একটি ভোটকেন্দ্র বা বুথ ‘ক্রিটিক্যাল’ বলে চিহ্নিত করার জন্য সেখানে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির স্পর্শকাতরতা দেখা হয়। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এক বছর আগের পঞ্চায়েত ভোটের মানদণ্ড প্রাধান্য পাচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোটের গোলমাল বা হিংসার ইতিহাস মাথায় রাখা হচ্ছে। কোনও একটি এলাকায় জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করার হার এবং গোলমাল পাকানোর মতো লোকের সংখ্যাও দেখা হয়। আর কমিশনের নিয়ম মতো কোনও একটি বুথে ৯০ শতাংশের বেশি ভোট পড়লে, কোনও এক জন প্রার্থী ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পেলে এবং কোনও একটি বুথে ১০ শতাংশের কম ভোট পড়লেও তা অতি সংকট প্রবণ বলে ধরা হয়। যার ভিত্তিতে নিরাপত্তা ও বাহিনীর মোতায়নের রূপরেখা স্থির করা হয়।