হুগলি, ১৮ মার্চ:- গত তিন দিন আগে লকেট চট্টোপাধ্যায় ভদ্রেশ্বর জুট মিল গেটে গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন, জুট মিলে শ্রমিকদের সঙ্গে অবিচার হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ভদ্রেশ্বর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রলয় চক্রবর্তীর সেদিন দাবি করেছিলেন মিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে জুট মিল চালু রাখার জন্য। দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলন যা হোক না কেন কাজ বন্ধ না রাখার জন্য শ্রমিকদের কাছেও আবেদন জানান তিনি। চার দিন বন্ধ থাকার পর গত শনিবার রবি দুদিন কাজ হয় মিলে। আজ সোমবার সকাল থেকে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দেয়। দেখা যায় মিলগেটে শ্রমিকরা পরিবার নিয়ে ধর্নায় বসে যায়। শ্রমিকদের অভিযোগ চুক্তি না মেনে শ্রমিকদের ওপর কাজের বোঝা চাপানো হচ্ছে, নতুন মেশিনে বেশি করে কাজ করতে বলা হচ্ছে। পুরনো মেশিনের অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন শ্রমিকরা কিন্তু নতুন মেশিনে কাজে তাদের সমস্যা হচ্ছে বলে দাবি শ্রমিকদের। পাশাপাশি শ্রমিকদের এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে সেটা নিয়েও অসন্তোষ রয়েছে তাদের।
মিল কর্তৃপক্ষকে বারবার বলা সত্ত্বেও কর্ণপাত করেনি বলে অভিযোগ শ্রমিকদের। সামনেই দোল, হোলি, রমজান মাস চলছে ঈদ পয়লা বৈশাখ, উৎসবের মরশুমে মিল বন্ধ থাকলে সমস্যায় পড়তে হবে শ্রমিকদের। যদিও সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক এর নোটিশ এখনো পর্যন্ত দেওয়া হয়নি মিলের পক্ষ থেকে। অশান্তি এড়াতে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ মিলের গেটে মোতায়ন করা হয়। তাঁত বিভাগের শ্রমিক মদন সাউ বলেন, পুরনো মেশিনে আমাদের ১০ ফুটের মধ্যেই কাজ মিটে যাচ্ছিল নতুন মেশিনে ৮০ ফুট দৌড়াতে হয়। দৌড়ে দৌড়ে কাজ করতে গিয়ে আমাদের মুখ দিয়ে রক্ত উঠে যাচ্ছে। প্রতিবাদ করলে ভয় দেখানো হয়। চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছিলাম মালিকের সাথে কথা বলে জানাবেন বলেছিলেন, কিন্তু তা জানানো হয়নি পরের দিন মিটিং করে বলা হয় মিল চালু হয়ে গেছে। কোন সমাধান না হয়েই আবার মিল চালু করে দেওয়া হল। যদি সমাধান হয়েই যেত তাহলে আমরা আজকে রাস্তায় থাকতাম না।