কলকাতা, ২১ ফেব্রুয়ারি:- চলতি মাসের শেষ সপ্তাহেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার আগে রাজ্যে আসতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি এবং বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে দেশের জাতীয় নির্বাচন কমিশন এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশেষত মানুষের মধ্যে থেকে ভয় দূর করে নিজের ভোট নিজে দেওয়ার প্রবণতাকে বাড়ানোর লক্ষ্যে এবং সব এলাকা এখন থেকেই শান্তিপূর্ণ রাখার জন্যই দেশের জাতীয় নির্বাচন কমিশন এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, যেসমস্ত এলাকায় আইন শৃঙ্খলা নিয়ে সমস্যা আছে সেখানে রুট মার্চ করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রসঙ্গত, বুধবারই প্রত্যেকটি লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে কতগুলি করে স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে জেলাশাসকদের কাছে তার তালিকা চায় নির্বাচন কমিশন। শুধু তাই নয়, স্পর্শকাতর বুথের পাশাপাশি স্পর্শকাতর অঞ্চল কতগুলি করে রয়েছে তার তালিকাও চায় নির্বাচন কমিশন। বিভিন্ন জেলা জেলাশাসকদের বুধবারের মধ্যেই তালিকা পাঠানোর নির্দেশ দেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। একইসঙ্গে, ২০১৯-এর তুলনায় স্পর্শকাতর বুথ ও স্পর্শকাতর অঞ্চলের সংখ্যা বেড়েছে কিনা সেই রিপোর্টও চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে জানা যায়, স্পর্শকাতর বুথের উপর নির্ভর করেই লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে আধা সেনা মোতায়েন করা হবে। সেই কারণেই দ্রুত তালিকা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ্য, জেলায় জেলায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আগেও রিপোর্ট তলব করেছিল নির্বাচন কমিশন। কোনও জায়গায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হলে তার রিপোর্ট সঙ্গে সঙ্গে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের তরফে। এই বিষয়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে গত সপ্তাহেই ভার্চুয়াল বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনারদের নিয়ে সশরীরে বৈঠক করবেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় যে অঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে সেই এলাকাগুলিকে মার্ক করে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। কমিশন সূত্রে খবর, প্রয়োজনে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পক্ষে বিরোধীরা বারংবার সরব হলেও শাসকদল আগাগোড়া কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে৷ গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর অভিযোগ তুলে সেই ঘটনার যথার্থতা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন করেছে শাসক দল তৃণমূল৷ তবে, এখন দেখার বিষয়, শেষ পর্যন্ত এরাজ্যে ঠিক কত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়।