এই মুহূর্তে কলকাতা

নির্বাচনের আগে প্রতি জেলার স্পর্শকাতর বুথের তালিকা চেয়ে পাঠালো কমিশন।

কলকাতা, ২১ ফেব্রুয়ারি:-আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে নির্বাচন কমিশন রাজ্যের প্রতিটি জেলার স্পর্শকাতর বুথের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে। প্রত্যেকটি লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে কতগুলি করে স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে জেলা শাসকদের চিঠি দিয়ে তার তালিকা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জেলায় স্পর্শকাতর অঞ্চলের সংখ্যাও জানতে চাওয়া হয়েছে। বুধবারের মধ্যেই এই তালিকা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব । একইসঙ্গে, ২০১৯-এর তুলনায় স্পর্শকাতর বুথ ও স্পর্শকাতর অঞ্চলের সংখ্যা বেড়েছে কিনা সেই রিপোর্টও চাওয়া হয়েছে বলে কমিশন সূত্রের খবর। জানা গেছে স্পর্শকাতর বুথের উপর নির্ভর করেই লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে আধা সেনা মোতায়েন করা হবে। সেই কারণেই দ্রুত তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, জেলায় জেলায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আগেও রিপোর্ট তলব করেছিল নির্বাচন কমিশন। কোন জায়গায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হলে তার রিপোর্ট সঙ্গে সঙ্গে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের তরফে। এই বিষয়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে গত সপ্তাহেই ভার্চুয়াল বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনারদের নিয়ে সশরীরে বৈঠক করবেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। জেলায় জেলায় যে অঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে সেই এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে রাখার তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।

সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনার দিকে এবার বিশেষ নজর দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার ভার্চুয়াল কনফারেন্স-এর মাধ্যমে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব জেলাশাসকদের জানিয়েছিলেন, এর আগে যে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে সেখানে উত্তেজনাপ্রবণ, অতি উত্তেজনা প্রবণ বুথ থেকে শুরু করে জামিন অযোগ্য ধারায় যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং অস্ত্র উদ্ধারের কাজে কতটা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে সেই নিয়ে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি বিস্তারিতভাবে কমিশনের দেওয়া তালিকায় তা সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করতে।তবে কমিশন যে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বেশ ভালো রকম ভাবেই চিন্তিত তা সেদিনের বৈঠকেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জেলা শাসকদের বেশ ভাল রকম ভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। এবার স্পর্শকাতর বুথের তালিকা চাওয়াতে তা আরও স্পষ্ট হয়ে গেল। এখনো পর্যন্ত যা অনুমান এবং সূত্রের খবর সেই অনুযায়ী, সাত দফাতেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচন হবে এই রাজ্যে এবং মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ হবার সম্ভাবনা বলেই মনে করছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।কমিশন সূত্রে খবর, বাড়তে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যাও। এদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পক্ষে বিরোধীরা বারংবার সরব হলেও শাসকদল আগাগোড়া কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে৷ গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর অভিযোগ তুলে সেই ঘটনার যথার্থতা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন করেছে শাসক দল তৃণমূল৷ তবে, এখন দেখার বিষয়, শেষ পর্যন্ত এরাজ্যে ঠিক কত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয় এবং প্রাক নির্বাচনী পটভূমিতে এত প্রস্তুতি নিয়ে এই রাজ্যে আসন্ন লোকসভা নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু ও স্বাভাবিকভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয় নির্বাচন কমিশন।