এই মুহূর্তে জেলা

তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সম্মেলনে অনুপস্থিত স্থানীয় বিধায়ক‌, গোষ্ঠী কোন্দলকেই দায়ী বিরোধীদের।

হুগলি, ৩১ জানুয়ারি:- লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল মাঠে নেমে পড়েছে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে কর্মী সম্মেলন। সপ্তগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সপ্তগ্রাম মিঠাপুকুর মোড়ে একটি লজে কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। এদিন সেই কর্মী সম্মেলনেই দেখা মিলল না সপ্তগ্রাম বিধানসভার তৃণমূলের বিধায়ক তপন দাশগুপ্তর। তবে এই কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চুঁচুড়া বিধানসভার বিধায়ক অসিত মজুমদার। সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন ব্লকের সভাপতিদের রদবদল করা হয়েছে। আগে চুঁচুড়া মগরা ব্লকের ব্লক সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন বর্তমানে চুঁচুড়া মগরা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বিকাশ রায়। রদবদলের পর ব্লক সভাপতি দায়িত্ব পেয়েছেন চুঁচুড়া মগরা পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ তাপস চক্রবর্তী। সূত্রের খবর বেশ কিছুদিন ধরেই তপন দাশগুপ্ত এবং অসিত মজুমদারের মধ্যে চলছে ঠান্ডা লড়াই। বিগত ব্লক সভাপতি বিকাশ রায় তপন অনুগামী বলেই জানা যায় তবে বর্তমানে যিনি ব্লক সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি অসিত অনুগামী। ফলে এই দিনের সম্মেলন বিধায়কের পাশাপাশি দেখা মিলল না প্রাক্তন ব্লক সভাপতির। সপ্তগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সম্মেলনের সম্পূর্ণ দায়িত্ব ছিল তাপস চক্রবর্তীর উপর। যার ফলে এদিনের এই সম্মেলনের গেটে স্থানীয় বিধায়ক তপন দাশগুপ্তর ছবিও পর্যন্ত দেখা গেল না।

সেই গেটে ছবি রয়েছে তৃণমূলের শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা চাঁপদানীর বিধায়ক অরিন্দম গুইন, সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান তথা ধনিয়াখালীর বিধায়ক অসীমা পাত্র, চুচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার ও বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন বেপারীর। সপ্তগ্রাম অঞ্চলের এই কর্মী সম্মেলনে স্থানীয় বিধায়কের অনুপস্থিতি ও ছবি না থাকায় এখন তৃণমূলের অন্দরে শুরু হয়েছে জল্পনা। ব্লক সভাপতি তাপস চক্রবর্তীর বক্তব্য সকলকেই জানানো হয়েছিল। এখানে মানুষের সমাগমটা আপনারা দেখুন কে এল কে এলোনা তাতে কিছু যায় আসেনা। মানুষের উপস্থিতিটাই বড় কথা। গোষ্ঠী কোন্দলের কথা উড়িয়ে দিয়ে বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন হয়তো কোথাও কোনো কাজ আছে তার। তবে তিনি দুটো ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান। আমাদের দলের গোষ্ঠী একটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর যারা গোষ্ঠীকন্দলের কথা বলছে তারা বিজেপির দালাল। বিজেপির হুগলী সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন এটা কোন নতুন কথা নয়। চুঁচুড়া এবং সপ্তগ্রাম বিধানসভা এলাকার সকল কর্মীসহ সাধারণ মানুষ পর্যন্ত জানে দুই বিধায়কের মধ্যে চরম গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব রয়েছে। আর সেই গোষ্ঠী কোন্দলেরই বহিঃপ্রকাশ আজকের এই কর্মী সম্মেলনে স্থানীয় বিধায়কের অনুপস্থিতি। সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত এবং চুঁচুড়া মগরা ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি তথা বর্তমানে চুঁচুড়া মগরা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বিকাশ রায় এ প্রসঙ্গে ক্যামেরার সামনে কোন মন্তব্যই বলতে চাননি।