এই মুহূর্তে জেলা

মন্ত্রী অরূপ রায়ের উদ্যোগ, হাওড়ায় ইকো পার্কের প্রবেশ মূল্য কমিয়ে ৫ টাকা করা হলো।

হাওড়া, ১১ ডিসেম্বর:- প্রথমে স্থির হয়েছিল নবরূপে সজ্জিত ইকো পার্কের দৈনিক প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ১০ টাকা করে করা হবে। সেইমতন ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় এর উদ্বোধনে এসে রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যান পালন দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ রায় প্রস্তাব দেন সাধারণ মানুষ বিশেষ করে শিশুদের কথা ভেবে যেন এর প্রবেশ মূল্য অর্ধেক কমিয়ে দৈনিক ৫ টাকা করা হয়। সেইমতন হাওড়া পুরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ডা: সুজয় চক্রবর্তী মঞ্চেই ঘোষণা করেন প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫ টাকা করা হলো। এদিন মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, এই পার্ক চালু হলো। এটা এই এলাকার শিশুদের জন্যে এবং বড়দের জন্যে যারা মর্নিং ওয়াক করেন বা বিকেলে বেড়াতে যান হাঁটাচলা করেন তাঁদের জন্যে উপকারে আসবে। সারাদিনের একঘেয়ে জীবন কাটিয়ে যারা বিকেলে একটু চেঞ্জের জন্যে সুন্দর পরিবেশে যেতে পছন্দ করেন তাঁদের জন্যে এটা উপকারে আসবে। পার্ক খুলে যাওয়ায় মানুষ উপকৃত হলেন।

এটা সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণের জন্যে পুরনিগম দায়িত্ব নিয়েছে। প্রবেশ মূল্য অর্ধেক করে ৫ টাকা দৈনিক করে দেওয়া হয়েছে। এই প্রবেশ মূল্য শুধুমাত্র পার্কের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য করা হয়েছে। এখনো কিছু কাজ বাকি আছে। পার্কের সেই অসমাপ্ত কাজ শেষ করে ফেলা হবে। পুর প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারপার্সন ডা: সুজয় চক্রবর্তী বলেন, হাওড়ার ইছাপুরের কাছে ড্রেনেজ ক্যানেল রোডে আনন্দময়ী আশ্রম সংলগ্ন ইকো পার্কটি দীর্ঘ দিন ধরে হাওড়া উন্নয়ন সংস্থার (এইচআইটি) দায়িত্বে ছিল। সেখানে বিভিন্ন বিনোদনের ব্যবস্থা ছিল। বেশ কয়েক বছর আগেও সেটি সাধারণ মানুষ ব্যবহার করতেন। করোনা কাল সহ বিভিন্ন কারণে সেই পার্কটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে এটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে খারাপ অবস্থায় পড়েছিল। পরে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য হাওড়া পুরনিগম এই পার্কটি তাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। এরপর এই পার্কটির একটি অংশ নতুন করে সাজানো হয়।

এটাকে দুটো স্টেজে সাজানো হয়েছে। যারা মর্নিং বা ইভিনিং ওয়াকার তাদের জন্য ওয়াকিং স্ট্রেচ খুলে দেওয়া হয়েছে। এখানে বাচ্চাদের জন্য খেলার ব্যবস্থা এবং খেলনা দুই রয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যান পালন দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ রায়, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তেওয়ারির উপস্থিতিতে এর উদ্বোধন হয়। হাওড়ার দুই বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় এবং নারায়ন দেবনাথকে সম্মান জানিয়ে এই পার্কের নাম রাখা হয়েছে ‘ষষ্ঠী নারায়ণ ইকো পার্ক’। এই পার্ক খোলা হলে শীতকালে মানুষ উপকৃত হবেন। এই পার্কের দেওয়ালে বাঁটুল, পঞ্চপান্ডবের ছবি রয়েছে। এখানে টিকিট মাথা পিছু দৈনিক ৫ টাকা এবং বছরে দুশো টাকা রাখা হয়েছে। এখনো ঠিক হয়েছে সকাল ছটা থেকে সন্ধ্যে ছটা পর্যন্ত পার্ক খোলা থাকবে। সিজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, সোমবার পার্ক বন্ধ থাকবে। পার্কটির সংস্কারের দায়িত্বে থাকবে হাওড়া পুরনিগম।