হুগলি, ১৩ নভেম্বর:- প্রদীপের আলোতে যখন দেশজুড়ে দীপাবলীর উৎসব পালিত হচ্ছে ঠিক তার উল্টোদিকেই বিশ্বের বৃহত্তম মোটর কারখানার শতাধিক কর্মী ও তার পরিবার দিন গুজরান বিদ্যুৎ ও পানীয় জল ছাড়া। হুগলির হিন্দুস্তান মোটরস কারখানায় গিয়ে দেখা গেল এমনই ছবি। বিদ্যুতের ল্যামপোস্ট থাকলেও কয়েক বছর ধরে নেই কোন আলো, এমনকি জলের পাইপ থাকলেও পাওয়া যায় না পানীয় জল। শ্রমিকদের অভিযোগ তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর বন্ধ হয়ে যায়, এই এশিয়ার বৃহত্তম মোটর কারখানা। শ্রমিকদের স্বেচ্ছা অবসর নিতে বাধ্য করেন কারখানা কর্তৃপক্ষ, তবে যারা স্বেচ্ছা অবসর নেয় নি তাদের পরতে হয় সমস্যায়। কারখানার লেবার কোয়ার্টারে প্রায় শতাধিক পরিবার থাকলেও কারখানার পক্ষ থেকে কেটে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হয় পানীয় জল। ফলে ওইসব শ্রমিকদের অভিযোগ আজ যেখানে প্রদীপ জ্বালিয়ে পালন করা হবে দীপাবলীর উৎসব সেখানে রাতের অন্ধকারে এই প্রদীপ জ্বালিয়েই দিন গুজরান শতাধিক পরিবার। যদিও এই বিষয়ে হুগলি জেলা তৃণমূল সম্পাদক আচ্ছেলাল যাদব বলেন, এই কারখানা বন্ধ হয়েছিল ২০০৭ সালে। রাজ্যে তখন সিপিএম সরকার।আর সিপিএম শুধু তাদের ইউনিয়ন করে করে বাংলার একের পর এক কারখানা বন্ধ করেছে।
আর সিপিএম বাংলাকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে।আর এখন রাজ্যের তৃণমূল সরকার কিভাবে মানুষের জীবনে আলো আনা যায় সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে।রাজ্যের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী সব সময় মানুষের কথা ভাবেন।আর আগে ছিল সিপিএম আর এখন তাদের সাথে জুড়েছে বিজেপি, বিজেপির থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তাই তারা কিছু পেলেই সেটা নিয়ে রাজনীতি করে ভেসে থাকার চেষ্টা চালাচ্ছে। অন্যদিকে বিজেপি জেলা কমিটির সদস্য পঙ্কজ রায় বলেন ২০১১ তে মা মাটি মানুষের সরকার গঠন হয় পূর্ণ ক্ষমতা নিয়ে। এরপর সমস্ত কলকারখানা বন্ধ হতে থাকে। এমনকি ২০১৪ সালে এশিয়ার বৃহত্তম কারখানা সেটাও বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৩ সালে হিন্দ মোটর কারখানার ট্রেড ইউনিয়নের ক্ষমতা পায় তৃণমূল। এমনকি তিনি বলেন রাতের অন্ধকার তো দূরে থাক দিনের বেলায় বন্ধ কারখানার সমস্ত মেশিনপত্র বেরিয়ে যাচ্ছে টেন্ডারের নাম করে। সেই টেন্ডারের টাকা থেকেও শ্রমিকদের ৬ মাসের মাইনে দেওয়া হতো তাহলেও তারা উপকৃত হতেন। যদিও এই বিষয় আরও মানুষের অভিযোগ, কাজ চলে গেলে শ্রমিকদের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে আর ট্রেড ইউনিয়ন এর নেতা ও শ্রমিক নেতাদের চার তলা বাড়ি, গাড়ি হচ্ছে, সবই সাধারণ মানুষকে বোকা বানানো। কোনো দলই কিছু করবে না, ভোট আসে, ভোট যায় এরপর নেতাদের টিকি দেখা যায় না।কি রাজ্য কি কেন্দ্রীয় সরকার কারোরই কোনো হেলদোল নেই।শুধুই নেতাদের পয়সা কামানোর উপায়।