কলকাতা, ৬ নভেম্বর:- বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠক ডাকা নিয়ে জবাবদিহি তলব করে রাজ্য শিক্ষা দফতর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য শান্তা দে কে চিঠি দিয়েছে। স্থায়ী উপাচার্য না হয়েও কীভাবে তিনি ওই বৈঠক ডেকেছেন চিঠিতে তা জানতে চাওয়া হয়েছে বলে শিক্ষা সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে অবিলম্বে প্রস্তাবিত ওই বৈঠক বাতিল করার জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টারকে আলাদা চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেখানে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের পদের সীমাবদ্ধতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ওই বৈঠক বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কোন কাজ করার আগে যাতে শিক্ষা দফতরের অনুমতি নেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সে বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে কর্মসমিতির বৈঠক ডেকেছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য শান্তা দে।
সেই বৈঠকের বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছে ওই চিঠিতে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য ইসির বৈঠক ডাকতে পারেন না। এর পরেও বৈঠক হলে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের নজরে আনব।’’ এর আগে কর্মসমিতির বৈঠক ডেকেছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য। বিষয়টি জানতে পারার পরই রাজ্য কড়া পদক্ষেপ নেয়। এরপরই স্থগিত হয়ে যায় ওই বৈঠক। এবার একই ঘটনা ঘটল কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ক্ষেত্রেও। প্রসঙ্গত, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে নবান্ন বনাম রাজ্যপালের সংঘাত আদালতে গড়িয়েছিল। যার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ স্পষ্টভাবে জানিয়েছিল, রাজ্যপাল আর অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করতে পারবেন না। এমনকী রাজ্যপাল যাঁদের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করেছেন, তাঁরা কোনও সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও নিতে পারবেন না।