এই মুহূর্তে কলকাতা

তিন বছর পর ফের কলকাতার শহীদ মিনারে বসতে চলেছে বাজি বাজার।

কলকাতা, ২৯ অক্টোবর:- দীর্ঘ জটিলতা ও আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে তিন বছর পর কলকাতায় শহিদ মিনারে ফের বাজি বাজার বসতে চলেছে। সেনার তরফেও অনুমতি মেলায় আগামী মঙ্গলবার ৩১ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বাজি বাজার বসবে বলে উদ্যোক্তা সারা বাংলা আতশবাজি উন্নয়ন সমিতির তরফে জানানো হয়েছে। ময়দানে ৫০ টি স্টলে তারাবাজি, ফুলঝুরি, চরকি, হাওয়াই, তুবড়ি, রংমশাল-সহ নানা রকমের বাজি বিক্রি হবে।সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায় বলেন একই সঙ্গে টালাতে বাজি বাজারের আয়োজন করা হয়৷ তবে এ বছর তা বসার সম্ভাবনা নেই। সারা বাংলা তবে শুধু কলকাতা নয়, গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এই বাজি বাজার বসতে চলেছে। সবমিলিয়ে কম-বেশি ৭০ টি জায়গায় বাজি বাজার বসবে। তার মধ্যে কাওয়াখালি ডুমুর জলা, উত্তরবঙ্গে ২০ টি জায়গায় সবুজ বাজি বাজারের আয়োজন করা হচ্ছে। বাবলা রায় বলেন, “আবার আমাদের জয় হল! দীর্ঘদিন শহিদ মিনার ময়দানে আতশবাজি মেলা বন্ধ থাকার পরে আমাদের অনুরোধে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হস্তক্ষেপ করেন। তারপরেই কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে ময়দানে আতশবাজি মেলার অনুমতি হাতে এল।

আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর মেলা চলবে।” এ দিকে গত সেপ্টেম্বরে তৃতীয় সপ্তাহে নবান্ন থেকে নির্দেশিকা জারি করে প্রত্যেকটি জেলাশাসকের স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এবার আতশবাজি বা সবুজ বাজি মেলা বসবে এলাকায় এলাকায়। কারণ পুজোয় নাচ, গান, খাওয়া-দাওয়ার মাঝে শিশু থেকে বৃদ্ধদের বাজি পোড়ানোর হিড়িক পড়ে। কলকাতা থেকে জেলা, পাড়ার মোড়ে অস্থায়ী বাজির দোকান বসে প্রতি বছর। এ বছরও পাড়ার মোড় থেকে গলিতে কিংবা শহরের বুকে বড় ছাউনিতে অস্থায়ী বাজির দোকান বসবে। সরকারের তরফে সেই সমস্ত ছোট বড় অস্থায়ী বাজি ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। উৎসবের আগে ছোট বড় অস্থায়ী বাজি ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স প্রদান করা হচ্ছে। তবে লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি নিয়ম এবং বিধি মানার কঠোর নির্দেশ রয়েছে। শুধুমাত্র সবুজ বাজি বিক্রির জন্য লাইসেন্স দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কোনওরকমভাবেই শব্দবাজির ব্যবহার যাতে না-হয় সে বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা বলা হয়েছে।