এই মুহূর্তে জেলা

ভগবানের কাছে ভক্তরা কত কিছুই প্রার্থনা করেন,ডিএ র প্রার্থনাও করেন!

হুগলি, ২৫ অক্টোবর:- দেবী দুর্গা মর্ত্য ছেড়ে কৈলাশে পাড়ি দিচ্ছেন গঙ্গার ঘাটে চলছে সপরিবারে উমার বিসর্জন। সেই বিসর্জনে এসেই পাওনা ডিএ র প্রার্থনা করলেন বারোয়ারীর সদস্যরা। কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের ডিএ আরও বেড়ে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে পার্থক্য দাঁড়িয়েছে ৪০ শতাংশ। ফারাক যত বাড়ছে মনের মধ্যে ক্ষেদ বাড়ছে রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের। ডিএ নিয়ে আন্দোলন, মামলা চলছে। তাতে অবশ্য আদৌ ডিএ মিলবে কিনা তার নিশ্চয়তা নেই। এবার দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জন করতে এসে সরাসরি ধনদেবীর কাছে ডিএর প্রার্থনা জানালেন বারোয়ারীর সদস্যরা। চুঁচুড়া আদি তোলাফটক বারোয়ারীর সদস্যদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন অবসর প্রাপ্ত সরকারী কর্মচারী স্কুল শিক্ষক। তাদেরই একজন প্রতাপ চক্রবর্তী হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার প্রাক্তন কর্মচারী।

ট্যাক্স বিভাগ থেকে বছর দুয়েক আগে অবসর নেন। চুঁচুড়ার অন্নপূর্ণা ঘাটে বারোয়ারীর প্রতিমা নিরঞ্জন করতে আসেন। সেখানেই লক্ষ্মী প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় তাকে প্রার্থনা করতে দেখা যায়। প্রতাপ বাবু বলেন, ডিএ দিয়ে দাও মা। ৪০ শতাংশের তফাত হয়ে গেল। প্রতি মাসে দশ হাজার সাতশ টাকা কম পাচ্ছি। লক্ষ্মীর কাছেই কেন ডিএ র প্রার্থনা? প্রতাপ বাবু বলেন, দেবী হচ্ছেন আমাদের পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ইচ্ছা হলেই দিয়ে দেবেন। নিরঞ্জনে হাজির প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক পার্থ প্রতিম দত্ত বলেন, অঞ্জনে এসে মা কৈলাশে পাঠানোর তোমাকে কৈলাসে পাঠানোর পূর্ব মুহুর্তে প্রার্থনা মর্ত্য থেকে প্রার্থনা জানাচ্ছি ডিএ টা যেন দিয়ে দেন। ডিএ প্রদান করলে মর্ত্যে শান্তি থাকবে। কৈলাশে তো শান্তি আছে ওখানে বরফ পরছে।