হুগলি, ১৭ অক্টোবর:- স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, বলাগড় থানার শেরপুর এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বিশ্বাসের সঙ্গে মগড়া থানার ত্রিবেনীর গৃহবধূ পার্বতী বিশ্বাসের প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। বছর চৌত্রিশের বিশ্বজিৎ ভীন রাজ্যে রাজমিস্ত্রীর কাজ করত। পুজোর সময় দিন দুয়েক আগে উড়িষ্যা থেকে বাড়ি ফেরে সে।গতকাল দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। রাতে আর বাড়ি ফেরেনি।আজ সকালে ত্রিবেনীর কোচাটি রেল গেটের কাছে বিশ্বজিতের মৃতদেহ পরে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। মগড়া থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ময়না তদন্তে পাঠায়। মৃতের গলায় ফাঁসের দাগ ছিল। বিশ্বজিতের দাদা সমীর বিশ্বাসের অভিযোগ, তার ভাইকে খুন করা হয়েছে।
ত্রিবেনীর গৃহবধূর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ভাই এর, বলেছিলাম পছন্দ হলে বিয়ে করতে। মাস তিনেক আগে একবার ওই মহিলা আমাদের বাড়িতে গিয়ে ঝামেলা করে। মাকে মারধোর করে। হুমকি দেয়। টাকার জন্য বিশ্বজিতকে চাপ দিতেন ওই মহিলা এমন অভিযোগ পরিবারের। পুলিশ তদন্তে নেমে অভিযুক্ত বধুকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, বধুর স্বামী কাশ্মিরে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করে। ইদানিং বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন। প্রেমিক বিশ্বজিৎ তাকে উত্যক্ত করত, পুলিশি জেরায় একথা জানিয়েছে। খুনের ঘটনায় গৃহবধূর সঙ্গে আরো কেউ যুক্ত বলে মনে করছে পুলিশ। কি কারনে খুন তাও খতিয়ে দেখছে।