এই মুহূর্তে জেলা

সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করার ঘটনায় সদস্যা ও প্রধানের বিরুদ্ধে পোস্টার কানাইপুরে।

হুগলি, ৮ অক্টোবর:- সরকারি স্কুলে গাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী ও পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে পোষ্টার পড়লো কানাইপুর এলাকাজুড়ে। বড় বড় গাছ সকলের অজান্তে কেটে বিক্রি করে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ এলাকার বাসিন্দাদের। নপরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেশ কিছু বড় বড় গাছ স্কুল বা পঞ্চায়েত কাউকেই না জানিয়ে কেটে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা সৌমিতা খাড়ার স্বামী পিন্টু খাড়ার বিরুদ্ধে। যদিও এদিন এই অভিযোগ স্বীকার করে নেয় অভিযুক্ত পিন্টু খাড়া। পঞ্চায়েতের তরফ থেকে দোষীর শাস্তি দাবি করে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে পঞ্চায়েত প্রধান কণিকা ঘোষ। এদিন সকালে নপাড়া এলাকায় দেখা যায় সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্তের শাস্তি দাবি করে পোষ্টার মারে বিজেপি ও সিপিএম।এরপরেই পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী পিন্টু খাড়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন এলাকার বাসিন্দারা। এলাকার এক বাসিন্দা প্রশান্ত পাল বলেন স্কুলের বড় বড় গাছ কাউকে না জানিয়ে এভাবে কেটে বিক্রি করে দেওয়া অপরাধ।স্কুলের শিক্ষকরা জানিয়েছে তাদেরকেও কিছু না বলে তাদের স্কুলের গাছ এভাবে কেটে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।

যে দোষী তার শাস্তি হওয়া দরকার। এলাকার আরেক বাসিন্দা সমর ভূইয়া বলেন এলাকায় পিন্টু খাড়া তার স্ত্রী তৃণমূলের সদস্যা হওয়ার পর থেকেই এলাকার মানুষকে ধমক দেওয়া ভয় দেখানো এসব শুরু করেছে। কিছু বলতে গেলেই এলাকার মানুষকে ভয় দেখানো হয়। এর প্রতিকার হওয়া উচিৎ। বিজেপি নেতা রাজেশ রজক বলেন এই সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করে পঞ্চায়েতের সকলে কমিশন খেয়েছে। তারা এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে ইতিমধ্যে এলাকায় পোষ্টার মেরেছে, আবার এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে তাদের। আর কয়েকদিনের মধ্যেই তারা দলগত ভাবে এই বিষয়ে কোর্টের দ্বারস্থ হবে। পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য শুভাশিস নস্কর বলেন তারা এই বেআইনি গাছ কাটার প্রতিবাদ পঞ্চায়েতের বোর্ড মিটিং এ তুলেছিলেন। যদি পঞ্চায়েত কোনো ব্যাবস্থা না নেয় আগামী দিনে তারা আইনি পথে যাবে। আর এই ঘটনায় পঞ্চায়েত প্রধান কণিকা ঘোষ বলেন পঞ্চায়েতকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তিনি পুলিশকে লিখিত অভিযোগ করেছেন যে এই বিষয়ে যুক্ত তার শাস্তি হবে। আর পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী পিন্টু খাড়া স্বীকার করে নিয়েছেন গাছ কাটার বিষয়। তিনি বলেন না জেনে করেছেন পঞ্চায়েত কিছু জানতো না এই বিষয়।