এই মুহূর্তে কলকাতা

ধুপগুড়ির নবনির্বাচিত বিধায়কের শপথ গ্রহণের জন্য রাজ্যপালকে চিঠি শোভনদেবের।

কলকাতা, ২৫ সেপ্টেম্বর:- ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের নবনির্বাচিত বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায়ের দ্রুত শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা করার জন্য পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় আজ ফের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিয়েছেন। দীর্ঘদিন শপথ গ্রহণ আটকে থাকায় ওই এলাকার মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না বলে উল্লেখ করে পরিষদীয় মন্ত্রী প্রথা মেনে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথ গ্রহণের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য রাজ্যপালকে চিঠিতে আবেদন জানান। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই তিনি এই চিঠি লিখেছেন সে কথাও উল্লেখ করেছেন শোভন দেব। সূত্রের খবর, এদিন রাজভবনে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে চিঠি পাঠানোর আগে নবান্নে স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সারেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়৷ স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পরেই রাজ্যপালকে চিঠি পাঠান পরিষদীয় মন্ত্রী। সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকজন বিধায়কের শপথ গ্রহণ ঘিরে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত বাধে। তার জেরে ভোটে জেতার প্রায় একমাস পর শপথ নেন সাগরদিঘির বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস। উল্লেখ্য, ৮ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন নির্মলচন্দ্র।

কিন্তু রাজভবন-নবান্নের সংঘাতের কারণে তাঁর শপথগ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। শনিবার উপনির্বাচনে জয়ী বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য রাজভবনের তরফে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হয়নি। পরিষদীয় দফতরের অভিযোগ, রাজ্য সরকারকে এড়িয়ে গিয়ে একক ভাবে বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করানোর আয়োজন করেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু পরিষদীয় দফতর সায় না দেওয়ায় সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি রাজভবনের তরফে। পরিষদীয় দফতরের অভিযোগ, কোনও বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করাতে হলে পরিষদীয় দফতরের ফাইলে রাজভবনের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। সেই ফাইল ফিরে এলে দফতরের তরফেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।পরিষদীয় দফতরের অভিযোগ ছিল, রাজ্য সরকারকে এড়িয়ে নিজেই রাজভবনে বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করাতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। এ ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াগত ত্রুটি থাকায় শপথবাক্য পাঠ করানো সম্ভব হয়নি। পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আবারও তিনি ধূপগুড়ির বিধায়কের শপথ অনুষ্ঠানের জন্য চিঠি পাঠিয়েছেন রাজভবনে। অনুমোদন পেলে পরিষদীয় দফতরই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।