হুগলি, ২১ সেপ্টেম্বর:- উত্তরপাড়ায় একটি বেসরকারি নেশা মুক্তি কেন্দ্রের আড়ালে চলত প্রতারণা চক্র। এইরকমই অভিযোগে নেশা মুক্তি কেন্দ্রের কর্ণধার মদন রানাকে গ্রেফতার করলো নবদ্বীপ থানার পুলিশ। নেশা মুক্তি কেন্দ্রের কর্ণধারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল রোগীদের থেকে জোর করে তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলিয়ে তুলে নেওয়া এবং তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র নিজে হাতিয়ে নেওয়ার। নবদ্বীপের এক যুবক পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানালে নেশা মুক্তি কেন্দ্রের কর্ণধারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রের খবর, নবদ্বীপ পুরসভার ন নম্বর ওয়ার্ডের যোগানার তলা রোডের বসবাসকারী যুবক সোমতীর্থ ভট্টাচার্য ধূমপানের নেশা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য উত্তরপাড়ার ওই নেশা মুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি হন। তার অভিযোগ তিনি সুস্থ হয়ে যাবার পরও জোরপূর্বক তাকে আটকে রেখে ৪ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন রিহ্যাবের মালিক মদন রানা।
এমনকি বিভিন্ন সময় তার নাম করে নবদ্বীপের বাড়িতে এসে ল্যাপটপ ঘড়ি টিভি ক্যামেরা সহ বেশ কিছু জিনিস নিয়ে যান তিনি। যার মোট মূল্য আনুমানিক আড়াই লক্ষ টাকা। শুধু তাই নয় টাকা না পেলে রোগীকে মারধর করার মতন অভিযোগও উঠেছে রিহ্যাবের মালিকের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয় রবিবার। সোমবার তাকে আদালতে পেশ করা হলে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। মঙ্গলবার হুগলির উত্তরপাড়ায় অভিযুক্ত মদন রানাকে নিয়ে আসা হয় তদন্তের অগ্রগতির জন্য। ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রসঙ্গত নেশা মুক্তি কেন্দ্রের কর্ণধার মদন রানা শাসক দল ঘনিষ্ঠ বলেই স্থানীয় সূত্রের খবর। যদিও অভিযুক্ত মদন রানা তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে পুরো ঘটনাকে একটি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন। যদিও এলাকার স্থানীয় মানুষের প্রশ্ন কিভাবে প্রশাসনের কোনো বৈধ নথি ছাড়া পাড়ায় পাড়ায় এইভাবে উত্তরপাড়া শহরে ব্যাঙের ছাতার মত নেশা মুক্তি কেন্দ্র গড়ে উঠছে?
কেন পুলিশ ও পুর প্রশাসন এই সমস্ত নেশা মুক্তি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না? এই বিষয় চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা জানান বর্তমানে বেশ কিছু নেশা মুক্তি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মাদক বিক্রির অভিযোগ উঠছে, গত বছর উত্তরপাড়ার ই একটি নেশা মুক্তি কেন্দ্র থেকে মাদক সাপ্লাই করা হচ্ছে এই নিয়ে দুই পাড়ার যুবকদের মধ্যে ব্যাপক গন্ডগোল হয়। এমনকি এই সব কেন্দ্রে অনেক সমাজ বিরোধীদের গা ঢাকা দেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।আমরা সব দিক খতিয়ে দেখে এই গুলি আরও কঠোর ভাবে নজর দেব। যদিও এই বিষয় উত্তরপাড়ার এক নেশা মুক্তি কেন্দ্রের কর্ণধার জানান যদি অভিযুক্ত এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকেন তাহলে এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়,পাশাপাশি এই সমস্যার সমাধান পেতে গেলে সমাজের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন এবং সরকারি ভাবেও আগামীদিনে তারা প্রশাসনের সহযোগিতায় এগিয়ে যেতে চান।