আবহাওয়া অফিসের সতর্কতা অনুযায়ী সোমবার বিশ্বকর্মা পুজোর দিন হতে পারে ভারী বৃষ্টি। তাতে অবশ্য দমবার পাত্র নয় ঘুড়িপ্রেমী বাঙালি। বিশ্বকর্মা পুজোয় এবার হাওড়ায় ঘুড়ির বাজার বেশ ভালোই। করোনা পরিস্থিতিতে গত প্রায় ২ বছর ধরে মানুষের অবসর সময় কাটানোর অন্যতম অবলম্বনই ছিল ঘুড়ি। কার্যত লকডাউনের সময়ে ঘুড়ি উড়িয়েই অবসর সময় কাটাতেন ছোট থেকে বড়ো অনেকেই। সেই থেকেই টানা ঘুড়ি ওড়ানোর রেওয়াজ বেড়েছে। এ বছর বিশ্বকর্মা পুজোয় ঘুড়ির চাহিদা বেশ ভালোই এমনটাই দাবি হাওড়ার বালির প্রসিদ্ধ ঘুড়ি বিক্রেতা শীতলের।
শীতলের ঘুড়ির দোকানে সকাল থেকেই ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। বিক্রি-বাট্টাও ভালোই হচ্ছে। শীতলের ঘুড়ি কিনতে আসছেন ক্রেতারা। শীতলবাবু জানান, এ বছর ঘুড়ির বিক্রি বেশ ভালোই। বিশেষ করে ছোটরাও ঘুড়ি কিনতে আসছে। অনেকটাই বিক্রি বেড়েছে। বিশ্বকর্মা পুজো এমন একটা উৎসব যেখানে মানুষ পরম্পরা মেনে ঘুড়ি উড়িয়ে থাকেন। সেই ঘুড়ির চাহিদা এবার আরও ভালো। তিনি জানান, চাইনিজ মাঞ্জা বা নাইলন সুতো তিনি বিক্রি করেন না। এখানকার দেশি সূতা বিক্রি করেন। ঘুড়ি যারা ওড়ান তাঁরাও সকলেই একমত চিনা মাঞ্জার ব্যবহার একেবারেই করা উচিত নয়।