হাওড়া, ১৭ সেপ্টেম্বর:- শনিবার বিকেলে হাওড়া স্টেশনে প্রতিবাদকারী হকারদের উপর আরপিএফের লাঠিচার্জের ঘটনার পর আরপিএফ ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। ওই ঘটনা সম্পর্কে রবিবার জাতীয় বাংলা সম্মেলনের তরফ থেকে আরপিএফের ভূমিকার তীব্র ধিক্কার জানানো হয়। তাদের অভিযোগ, রেলের হকারদের পেটে লাথি মারা হচ্ছে। তাদের ব্যবসা করতে দেওয়া হচ্ছে না। রেলের হকারিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তাদের জোর করে দোকান তুলে দেওয়া হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে তারা আন্দোলন শুরু করেছেন। কিন্তু শনিবার তাদের হাওড়া স্টেশনে ডাকা হয়েছিল আলোচনায় বসার জন্য এবং মীমাংসা করার জন্য। কিন্তু আলোচনার নামে তাদের ডেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে লাঠিচার্জ করা হয়েছে। জাতীয় বাংলা সম্মেলনের তরফে সিদ্ধব্রত দাস এদিন বলেন, “রেল আমাদের দোকান তুলে ফেলে দিচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ করছি।
আমরা যদি প্রতিবাদ না করতাম তাহলে লাঠিচার্জ হতোনা। প্রশাসনের তরফ থেকে গতকাল আমাদের হাওড়ায় আলোচনায় বসার জন্য ডাকা হয়েছিল। মীমাংসা করার জন্য আমাদের ডাকা হয়েছিল। আমি হাওড়ায় সেইজন্যই আসছিলাম। আসলে আমাদের ডাকা হয়েছিল মারার জন্য। ওরা আসলে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আমাদের উচ্ছেদ করার জন্য একটা ভয়ংকর খেলা শুরু হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমরা কথা বলছি। যা তাদের অনেক হিসেবনিকেশের অসুবিধা করে দিচ্ছে। রেল প্রশাসন হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে তাদের লোক মারফত লক্ষ লক্ষ টাকা তোলাবাজি করে। রেল লাইনে চোলাই মদের ঠেক চলে। যার টাকা রেলের এই আরপিএফের ঘরে ঢোকে। সাট্টার ঠেকের টাকাও ঢোকে। আমাদের আন্দোলন তাদের এই হিসেবে হাত মেরে দিচ্ছে।
সেইজন্য বাবুদের ঘুম চলে গেছে। নির্মমভাবে আমাদের উপরে লাঠিচার্জ করা হয়েছে। আমাদের তুলে নিয়ে গিয়ে লক আপে মারধর করেছে। সেখানকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করলেই তা প্রমাণ হয়ে যাবে। বাংলার মাটিতে এরা দাদাগিরি দেখাচ্ছে। খেটে খাওয়া হকারদের পেটে লাথি মেরে আজকে তুলে দেওয়া হচ্ছে। বাইরের রাজ্য থেকে লোক এনে এখানে দোকান পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের প্রশ্ন একটা টেন্ডারও কি আমাদের এখানের কেউ পায়না? হকার সব বাঙালি। আর দোকানদার সব অবাঙালি এটা হবে কেন? ওদের উদ্দেশ্য এখানকার মানুষদের ভেঙেচুরে উচ্ছেদ করার। IRCTC এর সব টেন্ডার বাইরের লোক এসে নিয়ে চলে যাচ্ছে। গতকালের ঘটনায় ২ জন যাত্রী সহ মোট ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লক আপের মধ্যে রেখে মারধর করা হয়েছে।”