কলকাতা, ৮ সেপ্টেম্বর:- এক হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে তৃণমূল কংগ্রেস ধূপগুড়ি বিধানসভা আসন টি পুনর্দখল করলো। ২০১৬ সালের নির্বাচনে এই দলের মিতালী রায় এই আসনে জিতেছিলেন। কিন্তু ২০২১ সালে জয়লাভ করেছিলেন বিজেপির বিষ্ণুপদ রায়। তার আকস্মিক প্রয়াণে আসন টি শূন্য হওয়ায় এই আসনে উপনির্বাচন হয়। চূড়ান্ত গণনার শেষে ৪হাজার৩১৩ ভোটে জিতলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নির্মল চন্দ্র রায়।তার প্রাপ্ত ভোট ৯৬হাজার ৯৬১। বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায় পেয়েছেন ৯২ হাজার৬৪৮।এবং কংগ্রেস সমর্থিত সিপিআইএম প্রার্থী ঈশ্বর চন্দ্র রায় পেয়েছেন১৩হাজার ৬৬৬ টি ভোটে। উল্লেখ্য তৃণমূল এবং বিজেপি প্রার্থী বাদে সকল প্রার্থীর ই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এই নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটার নিরিখে তৃণমূল পেয়েছে ৪৬.৪২ শতাংশ। বিজেপি পেয়েছে ৪৪.১৩ শতাংশ। অপরদিকে সিপিআইএম এর ভোটের হাত ৬.৪৬ শতাংশ। সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনে নোটায় ভোট দিয়েছেন ১২১৬ জন। যা প্রদপ্ত ভোটের ০.৫৯ শতাংশ। ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয়কে ‘ঐতিহাসিক’ বলে আখ্যা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার দিল্লি যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বলেন, ‘‘এটা উত্তরবঙ্গে বড় জয়। ধূপগুড়ির মা-মাটি-মানুষকে ধন্যবাদ। ওটা বিজেপির আসন ছিল। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় ঐতিহাসিক।’’ ধূপগুড়ির জয়ের সঙ্গে ‘ইন্ডিয়া’-কেও জুড়ে নিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘দেশে সাতটি উপনির্বাচনের চারটিতে বিজেপি হেরেছে। এটা সম্ভব হয়েছে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র জন্যই।’’ ধূপগুড়ি জয়ের পর সেখানকার মানুষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ‘তৃণমূলের সেনাপতি’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ধর্মান্ধতার রাজনীতিকে হারিয়ে উন্নয়নের রাজনীতিকে বেছে নেওয়ার জন্য ধূপগুড়িকে অভিনন্দন। প্রতিটি তৃণমূলের কর্মীকেও অভিনন্দন জানিয়েছেন অভিষেক। যাঁরা এলাকার মানুষের সঙ্গে আগাগোড়া সংযোগ রক্ষা করে গিয়েছেন। পরিশেষে বলেছেন, ধূপগুড়ির সার্বিক উন্নয়নের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাবেন।রাজনীতিতে সাধারণ ধারণা হল, উপনির্বাচন হলে শাসকদলই জেতে। কিন্তু বাংলায় সাগরগিঘির ভোট সেই ধারণা ভেঙে দিয়েছিল। সেই কারণেই সাগরদিঘির পরে ধূপগুড়ির উপনির্বাচন শাসক তৃণমূলের কাছে বড়সড় চ্যালেঞ্জ ছিল। ‘সংগঠক’ অভিষেকের কাছেও ধূপগুড়ি তাই ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ ছিল বিবিধ কারণে।