এই মুহূর্তে কলকাতা

পুজো কমিটির বৈঠকে এসে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে তীব্র আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর।


কলকাতা, ২২ আগস্ট:- নেতাজি ইন্ডোরে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে এসে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে তীব্র আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডিকে দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এমনকী ইডি তল্লাশিতে ঢুকে বাড়িতে বোমা রেখে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন মুখ্য়মন্ত্রী। পুজো কমিটির সঙ্গে বৈঠকে নিজের ভাষনের ফাঁকে এদিন তিনি কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভূমিকা নিয়ে পুনরায় সরহ হন। বলেন, এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ছেলেটা সবে বিদেশ থেকে ফিরেছে। হঠাৎ করে চলে গেছে সব ৪ – ৫ টা জায়গায়। সকাল ৬টায় আমি খবর পেলাম বাবুরা বেরিয়েছেন। ধরুন আমার বাড়িতে কেউ গেল। বা আমি কারও বাড়িতে পুলিশ পাঠালাম। নিয়ম হল একটা পরোয়ানা থাকবে, বা বাড়ির লোকেদের ডেকে কথা বলবে। রেড করতে হলে বাড়ির লোক থাকবে। অনেকে আছে ধরুন ইংরাজি ভালো জানে না বা বাংলায় ভালো ড্রাফট করতে পারে না। তারা আইনজীবীর সাহায্য নেয়। তুমি একটা জায়গায় যাচ্ছো রেড করতে। তালা ভেঙে ঢুকছো। জানাচ্ছো না।

ধরুন বাইচান্স সে নেই বাড়িতে। বন্ধ। আর তাতে যদি কেউ চা করার লোকও থাকে তাকেও ঘর থেকে বার করে দিচ্ছো। তুমি কোনও সাক্ষী রাখছ না’। এর পরই আশঙ্কা প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটাও তো হতে পারে আমরা যদি কাল্পনিকভাবে ধরে নিই। আমার বাড়িতে গেল আমাকে জানাল না। আমার তো একটা সিকিওরিটির প্রবলেম আছে। সিকিওরিটির প্রবলেম যে কারও আছে। তুমি যে একটা এক্সপ্লোসিভ রেখে যাচ্ছ না কে তার গ্যারান্টি হবে? তুমি নিজে ঢুকছো, নিজে করছো। তুমি যে লুকিয়ে একটা বন্দুক রেখে যাচ্ছ না কে গ্যারান্টি নেবে? তুমি যে কয়েক কোটি টাকা নিজে বাক্সে করে নিয়ে ঢুকছো না…. জানাবার কোনও জায়গা নেই। যা ইচ্ছে তাই করব। অর্থাৎ এটা আইনি নয়’। প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘কে কে কাকে বিয়ে করেছে। তার কোথায় জন্ম হয়েছে। তার কটা বাচ্চা হয়েছে। সে কোন স্কুলে পড়ে। তার বাড়িতে কী বাজার হয়েছে। সে কী খাচ্ছে। এ নিয়ে দেশ চলতে পারে না। বাইরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে বেড়াচ্ছেন, আমরা সবাইকে নিয়ে চলি। আর বিরোধী রাজ্যগুলোকে দেখুন। সবাইকে ডেয়োঁ পিঁপড়ের মতো কামড়াচ্ছে’। ভাষমের শেষে জয় বাংলা, জয় ইন্ডিয়া স্লোগান তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজো উদ্যোক্তারাও তাঁর সঙ্গে গলা মেলান।