হুগলি, ৬ আগস্ট:- রবিবার ভারত সরকার দ্বারা শুরু করা অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের অধীনে, সারাদেশে ১৩০৯টি রেলওয়ে স্টেশন অত্যাধুনিকভাবে পুনর্নির্মাণের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে সুবিধাগুলি ভারতীয় বৈচিত্র্যের মহিমা প্রদর্শন করে। এই পুনঃউন্নত স্টেশনগুলি অত্যাধুনিক যাত্রী সুবিধার পাশাপাশি বিদ্যমান সুবিধাগুলিকে যুগোপযুগী করার সাথে প্রতিস্থাপন করে সজ্জিত করা হবে বলে উদ্যোগ নেওয়া হয়। ইস্টার্ন রেলওয়ের ২৮টি স্টেশন হল:- বর্তমানে, ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতীয় রেলের ৫০৮টি স্টেশনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন (ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে) যার মধ্যে ২৮টি স্টেশন ইস্টার্নরেলওয়েতেরয়েছে,আসানসোল জং., পাণ্ডবেশ্বর, অন্ডাল জং., সিমুলতলা, কুমারডুবি, বর্ধমান, রামপুরহাট জং., কাটোয়া, আজিমগঞ্জ, শেওরাফুলি, অম্বিকা কালনা, তারকেশ্বর, নবদ্বীপ ধাম, বোলপুর শান্তিনিকেতন, মালদা টাউন, নিউ ফরাক্কা, জামালপুর, সাহিগঞ্জ), কাহালগাঁও, পিরপাইন্টি, বেরহামপুর কোর্ট, কৃষ্ণনগর সিটি জং., বেথুয়াদহরি, শিয়ালদহ, ব্যারাকপুর, চাঁদপাড়া, শান্তিপুর। উক্ত অনুষ্ঠানে ঘোষণা করা হয় যে শিয়ালদা স্টেশনে এবং, তারকেশ্বর স্টেশনে এবং অম্বিকা রেলওয়ে স্টেশনে, যুগোপোযোগী করে তোলার জন্য অত্যাধুনিক প্রয়াসের সাথে কর্মশালা সম্পন্ন করা হবে।হুগলি জেলার শেওড়াফুলি জংশন যথাক্রমে ৩১.২, কোটি, এবং তারকেশ্বর ২৪কোটি, অম্বিকা কালনা স্টেশন নতুন করে অমৃত স্টেশন প্রকল্প।
বিশ্বের দরবারে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্তের স্বাক্ষর তথা বিশ্বব্যাপী গুণগত মানের কর্মশালা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে অমৃত ভারত স্টেশন উদ্যোগী হয়েছেন মোদি সরকার। সেই মতই আজ রবিবার অমৃত ভারত স্টেশন স্কিমের আওতায় থাকা শেওড়াফুলি স্টেশন রি- ডেভেলপমেন্টের ভিত্তি প্রস্তর ভার্চুয়ালি উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশের সামগ্রিক কাজের জন্য খরচ হতে চলেছে ২৪ হাজার ৪৭০ কোটি টাকারও বেশি। পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ঝা চকচকে হবে স্টেশনের গোটা চৌহদ্দি। ঢোকা বেরোনোর পথ সুন্দর ভাবে করা হবে চলমান সিঁড়ি, লিফ্ট, সুরক্ষিত করে তোলার জন্য, সি টিভি। সুবিধার্থে থাকবে ফ্রী ওয়াইফাই, শপিং কমপ্লেক্স, শিশুগেমিং ও বিশ্রামকক্ষ। যাত্রীদের প্রতীক্ষালয় সব থাকবে, থাকবে এটিএম কাউন্টার, যাত্রী স্বাচ্ছন্দে বিশ্বমানের করে গড়ে তুলে উল্লেখিত স্টেশনগুলিকে সিটি সেন্টারে পরিণত করতে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য।
আজ রবিবার সকালে আয়োজিত অনুষ্ঠানের বড়পর্দায় প্রকল্পের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী ভাসন দেখানো হয়। রেলের উচ্চপদোস্ত কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। মুখ্য অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী শ্রীযুক্ত প্রতিয়নাথ কর্মকার রায় এর স্ত্রী মাধবী কর্মকার রায়, মাননীয় সঞ্জীব সাহা মহাশয়, স্টেশন মাষ্টার রাম অবধার প্রসাদ। ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে মান্যতা দিয়েই স্টেশন গুলির মনোন্নয়ন করা হচ্ছে। রেলের পক্ষ থেকে বলা হয় যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের মনোন্নয়ন ঘটানোই সরকারের লক্ষ্য যেখানে থাকবে ভারতগৌরবযাত্রা ট্রেন।রেলপথের উন্নতয়ন এবং গেট নির্মান করা হবে। জানানো হয় আগের থেকে দ্রুত পৌঁছানো যাবে পন্যসামগ্রী। তারকেশ্বর স্টেশন, এবং শেওড়াফুলি স্টেশন, অম্বিকা কালনা স্টেশন, জায়গায় ঐতিহ্যমন্ডিত, ঐতিহ্যের স্মারক হয়ে দাঁড়াবে ৩ স্টেশন, যাত্রী সাধারণ বলেন সকাল এবং বিকেলে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হোক।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই কাজের উপর নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছেন। প্রয়োজন মত ইনপুটও দিচ্ছেন। অমৃত ভারত স্টেশন স্কিমে হুগলি জেলার তিনটি স্টেশন কে চিহ্নিত করে কেন্দ্রের সরকার রবিবার শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যা বিশ্বশিল্পআয়নের সাক্ষরতা বহন করেছে।