এই মুহূর্তে জেলা

হুগলি, ১৬ জুলাই:- কখনো চুঁচুড়া ঘড়ির মোড় কখনো হাসপাতাল চত্বর ছিল তার ঠিকানা, চোখে সংক্রমণ হওয়ায় হাসপাতালের কাছেই পড়েছিলেন গত কয়েকদিন। কেউ ঘুরেও দেখেনি।বৃদ্ধের সহায় হলেন আনন্দবাজার অনলাইনে বছরের বেস্ট সুকুমার উপাধ্যায়। জট পরা চুলে উকুনের পরিপাটি সংসার ছিল বৃদ্ধের মথায়। সেই চুল কামিয়ে ভালো করে স্নান করিয়ে দেন ঘরির মোরের ব্যবসায়ীরা। সংক্রমনের জন্য দুটো চোখ বন্ধ হয়ে যায়। ভিক্ষা করে খাবার জুটছিল না।নজরে পরে পুলিশ কর্মি সুকুমার উপাধ্যায়ের।

জেল থেকে বন্দীদের মেডিকেল করাতে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালের সামনে বসে থাকতে দেখেন বৃদ্ধকে। চোখ খুলতে পারছে না ব্যাথাও করছে জানায় বৃদ্ধ। পুলিশ কর্মি তাকে তুলে চোখের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। ডাক্তার ওষুধ দেন।সুকুমার ডিউটি যাওয়ার আগে ডিউটি থেকে ফেরার সময় চোখে ওষুধ দিয়ে দেন। কদিন ভিক্ষা করতে পারেননি তাই খাবারের ব্যবস্থা করেন। বৃদ্ধের কথাবার্তায় অসংগতি রয়েছে। কোথায় বাড়ি ঠিক করে বলতে পারছেন। পুলিশ কর্মি বৃদ্ধের ছবি তুলে তার সহ কর্মিদের পাঠিয়ে পরিবারের খোঁজ করছেন। যদি বাড়ির ঠিকানা পাওয়া যায় বৃদ্ধকে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।এর আগেও এধরনের ঘর ছাড়া মানুষদের ঘরে ফিরিয়েছেন সুকুমার।