এই মুহূর্তে জেলা

ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত।

নদীয়া, ১২ জুলাই:- ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। দিনে দুপুরে এলাকায় একাধিক বোমাবাজির ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা। ঘটনার জেরে এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট, এছাড়াও দফায় দফায় টহলদারি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জাওয়ানেরা। ঘটনাটি এদিন নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের বেলঘড়িয়া দু’নম্বর পঞ্চায়েতের গবারচর মাঝের পাড়ার। বিজেপির অভিযোগ, ওই পঞ্চায়েতের বিজেপির জেতা প্রার্থী গৌরাঙ্গ বিশ্বাসের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায় তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এরপরেই বিজেপির জয়ী প্রার্থী সহ তার স্ত্রী ও ছেলেকে বেধারক মারধর করে। তারপরে এলাকায় শুরু করে ব্যাপক বোমাবাজি। যদিও বিজেপির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে ওই পঞ্চায়েতের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী পুতুল দাস।

তাদের অভিযোগ প্রথমে বিজেপির কর্মীরা তাদের বাড়িতে এসে চড়াও হয়, এরপর তাকে বেধড়ক মারধর করে। যদিও দুপক্ষেরই চারজন শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে আহত বিজেপি কর্মীদের সাথে দেখা করতে হাসপাতালে যান রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদগন্নাথ সরকার। সাংসদকে কাছে পেয়ে সমস্ত ঘটনা খুলে বলেন আহত বিজেপি কর্মীরা। যদিও ভোট পরবর্তী হিংসার বোমাবাজির ঘটনায় একজনকে আটক করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। পাশাপাশি সকাল থেকেই ওই এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। অন্যদিকে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা যাতে ফিরিয়ে আনা যায় সেদিকেই চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন।