এই মুহূর্তে জেলা

হুগলিতে প্রায় হাজারেরও বেশি অতিরিক্ত প্রার্থীর মনোনয়ন জমা করলো শাসক দল।

হুগলি, ১৬ জুন:- হুগলি জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় দের হাজার,পঞ্চায়েত সমিতিতে আড়াই শো’র বেশি আসনে অতিরিক্ত প্রার্থী মনোনয়ন জমা করল তৃনমূল! বিজেপি বলছে এইতো নব জোয়ার,তৃনমূলের দাবী যারা প্রতীক পাবে তারাই দলের প্রার্থী,বাকিরা প্রত্যাহার করবে। হুগলি জেলায় ২০৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩৮৮০ টি আসন। ১৮ টি পঞ্চায়েত সমিতির ৬১৯ টি আসন। জেলা পরিষদের আসন ৫৩ টি। তৃনমূলের হয়ে মনোনয়ন দিয়েছেন পঞ্চায়েতে ৫৪৩৯ জন, সমিতিতে ৮৭০ জন এবং জেলা পরিষদে ৫৭ জন। সিপিআইএম এর পক্ষে করেছেন পঞ্চায়েতে ৩৬১১ জন, সমিতিতে ৬৮৫ জন এবং জেলা পরিষদে ৫৭ জন। বিজেপি মনোনয়ন করেছে পঞ্চায়েতে ৩৪১৭ টি,সমিতিতে ৬২৪ টি এবং জেলা পরিষদে ৫৮ টি। মনোনয়ন জমা শেষ হবার পর নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনে বিজেপি চারশোর কিছু বেশি আসনে মনোনয়ন করতে পারেনি।তবে সমিতিতে ৫ টি বেশি প্রার্থী মনোনয়ন করেছে।জেলা পরিষদেও পাঁচ জন অতিরিক্ত মনোনয়ন জমা করেছেন। তৃনমূল অবশ্য শেষ দিনে যা মনোনয়ন জমা দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে গ্রাম পঞ্চায়েতে দের হাজার বেশি প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছে।সমিতিতেও আড়াই শো প্রার্থী বেশি।জেলা পরিষদে চারজন। বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়ন জমা করার শেষ দিন।

তৃনমূল মুখপাত্র শান্তনু সেন হুগলিতে দলের মনোনয়ন কেমন হচ্ছে দেখতে এসে জানিয়েছিলেন একশ শতাংশ আসনে তৃনমূল প্রার্থীরা মনোনয়ন করবে। দেখা গেলো একশ শতাংশের অনেক বেশি প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়ে দিলেন। মানুষ যাদের নাম প্রস্তাব করবে এলাকায় স্বচ্ছ ভাবমূর্তি আছে এমনকে প্রার্থী করা হবে বলা হয়েছিল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচীতে প্রার্থী বাছাইয়ে ভোটের ব্যবস্থাও করা হয়।কিন্তু এত বেশি প্রার্থীর মনোনয়ন সেই ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে বসল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য ভাস্কর ভট্টাচার্য বলেন,বাংলায় নবজোয়ারের ঢেউ পুরীর ঢেউয়ের থেকেও বেশি।যার পালে হাওয়া দিয়ে বেশিপ্রার্থী মনোনয়ন করেছে তৃণমূলে।একটা ভাবার বিষয় মন জোয়ার এনেছে যে নিজেদের মধ্যেই মারামারি খুনোখুনি না আরম্ভ হয়। মাঝে উলুখাগড়া হবে সাধারণ জনগণ আর বিরোধীরা। হাইকোর্ট বলে দিয়েছে বাহিনী দিয়ে ভোট করতে হবে তাতে এত ভয় কেন। গণতন্ত্রকে কবরে পাঠিয়ে এখনই তৃনমূল কিছু জায়গায় আবীর নিয়ে নাচছে।এখনো নির্বাচন শেষ হল না। বাংলার মানুষ এর জবাব দেবে। তৃণমূলের হুগলী শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইন বলেন, অনেকেরই আশা থাকে যে তারা প্রার্থী হবে তাই মনোনয়ন জমা দিয়েছে। তবে প্রতীক তারাই পাবে যাদের নামে তালিকা বেরিয়েছে। যাদের নাম নেই তালিকায় অথচ ডিসিআর কেটেছে তারা নাম প্রত্যাহার করে নেবে। যারা নমিনেশন করেছে তারা দলের একনিষ্ঠ কর্মী।দলের কথা নিশ্চয়ই তারা মেনে চলবে। এখন দেখার যারা দলের প্রতীক পাবেন না তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন নাকি নির্দল হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।