এই মুহূর্তে কলকাতা

কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট, বিষয়টি কমিশনের ওপরই ছাড়লো কলকাতা হাইকোর্ট।

কলকাতা, ১২ জুন:- কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট হবে কিনা সে বিষয়টি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওপরেই ছাড়ল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতে এই দাবি নিয়ে বিরোধীদের দায়ের করা মামলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পক্ষে জোরালো দাবি করলেও এব্যপারে স্পষ্ট কোনও নির্দেশ দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট। বরং কমিশনকে নিজের ক্ষমতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন,” আপনারা নিরপেক্ষ সংস্থা। আপনাদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অতীতে অভিজ্ঞতা থেকে এ বারেও ত্রুটি থাকা উচিত নয়। কমিশনের ভূমিকা সন্তোষজনক হওয়া উচিত। আপনাদের ক্ষমতা সম্পর্কে সচেতন থাকুন। কমিশন চাইলে সঠিক পদক্ষেপ করতে পারে।’’ তবে প্রয়োজনে কমিশনকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি। রাজ্যের বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর কথা ভাবতে কমিশন কে এদিন পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। প্রধান বিচারপতি বলেন, হনুমান জয়ন্তী র মত এ ক্ষেত্রেও (পঞ্চায়েত ভোট) কমিশন চাইলে সহযোগিতা চাইতে পারে। কমিশন ৬ থেকে ১০টি জেলাকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করেছে।

প্রয়োজনে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা যেতে পারে।’’ চুক্তি ভিত্তিক কর্মী বা সিভিক ভলিন্টিয়ারদের ভোটের কাজে ব্যবহার করা প্রসঙ্গেও সতর্ক করে আদালত বলেছে, ‘‘এ বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে। মনে রাখতে হবে, সিভিক কিন্তু পুলিশ নয়। তারা পুলিশকে সাহায্য করার কাজে যুক্ত।’’ অন্যদিকে বিরোধীদের দাবি মেনে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ার ইঙ্গিত মিলল। কলকাতা হাইকোর্টে বিরোধীদের দায়ের করা মামলার শুনানির সময় মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা একদিন বাড়ানোর ব্যপারে সম্মতি দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।এই দিন মামলার শুনানির সময় সময়সীমা বৃদ্ধির পরামর্শ দেন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। তিনি বলেন, আগের বারের তুলনায় মনোনয়ন পেশের সময় কম। প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা মনোনয়ন পেশের জন্য অপর্যাপ্ত। এ প্রসঙ্গে কমিশন জানিয়েছে, চাইলে মনোনয়নের সময় এক দিন বাড়ানো যেতে পারে। ৯ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত যে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় বেধে দেওয়া হয়েছিল, তা ৯ জুন থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত করা যেতে পারে। এর প্রত্যুত্তরে বিচারপতি বলেন, সে ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত ভোট ১৪ জুলাই করাতে হবে।