এই মুহূর্তে জেলা

বাংলায় শিল্প নেই, পঞ্চায়েত শিল্পই বড় শিল্প, হাওড়ায় সুকান্ত।

হাওড়া, ১০ জুন:- মোদী টাকা পাঠাবে আর দিদির ভায়েরা লুটবে। বাংলায় এখন রোজগার নেই। শিল্প নেই। পঞ্চায়েত শিল্পই এখন বড়ো শিল্প এই বাংলায়। পঞ্চায়েত এখন রোজগারের জায়গা হয়ে গেছে। শনিবার বিকেলে হাওড়ায় বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি এদিন সাংবাদিকদের বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজে বলেছিলেন বোমা বন্দুক সব অস্ত্র উদ্ধার করতে। তা হলে ভালো হতো। কিন্তু আজ পর্যন্ত তা হয়নি। যদিএই নির্দেশ পুলিশ পর্যন্ত যায় তাহলে আমাদের ভাল লাগবে। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত নির্দেশ দিয়েছেন বোমা, অস্ত্রের মতো বেআইনি জিনিস উদ্ধার করতে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সুকান্ত বাবু আরও বলেন, রাজ্যে প্রায় ৭০ হাজার বুথ আছে। সেই অনুযায়ী পুলিশ অনেক কম। সেক্ষেত্রে আইনকে, আদালতের রায়কে অমান্য করে সিভিক ভলেন্টিয়ারকে লাঠি হাতে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ এখানে মানা হয়নি। রাজ্য সরকার নিজে হাইকোর্টের নির্দেশকে অমান্য করছে। সুকান্ত মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ওদের কথা কে শুনবে? ওনাদের নিজেদের কর্মীরা ওনাকে (অভিষেক) বলছেন আপনি কয়লা লুঠের টাকায় খাচ্ছেন। আপনি গরু পাচারের টাকা খাচ্ছেন আর আমরা পঞ্চায়েত লুঠ করব না? পঞ্চায়েত রোজগারের জায়গা হয়ে গিয়েছে। এখানে শিল্প নেই, পঞ্চায়েত শিল্পই বড় শিল্প। মোদি টাকা পাঠাবেন আর দিদির ভাইয়েরা লুঠবে। এই শিল্পই পশ্চিমবঙ্গে বড় শিল্প। এখানে সন্ত্রাস চলছে। তৃণমূল চায়না শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন যাতে না হয় সেই ব্যাপারে সর্বতোভাবে চেষ্টা করছে। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে অত্যাচারী তৃণমূল শাসকের বিরুদ্ধে লড়ব। তৃণমূল কংগ্রেস শ্মশানের শান্তি ছাড়া অন্য কোন শান্তি জানে না। ২০১৮ সালে তাঁরা যেটা করেছিলেন সেটা করতে দেব না এবার। ওরা ভোট লুটের চেষ্টা করবে। বীরভূমে, বাঁকুড়াতে, পুরুলিয়াতে সেটা ভয়ে করতে পারছে না।