এই মুহূর্তে জেলা

পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক হুগলিতে।

হুগলি, ৯ জুন:- পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো হুগলি জেলায়।হুগলি জেলাশাসক পি দীপাপ প্রিয়া,চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি, হুগলি গ্রামীন পুলিশ সুপার আমনদীপ সহ জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে জেলাশাসক জানান, হুগলি জেলায় ২০৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩৮৮০ সিট ১৮ টি পঞ্চায়েত সমিতির ৬১৯ টি সিট ও জেলা পরিষদের ৫৩ টি সিটে নির্বাচন হবে। মোট ভোটার ৩৪ লাখ ৭২ হাজার ২৫৫ জন। ভোট গ্রহন কেন্দ্র ৩৮৫১ টি। জেলা শাসক বলেন, প্রতিটি ব্লকে আজ থেকেই মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হয়েছে। সেখানে হেল্প ডেস্ক থাকছে যেকোনো প্রয়োজনে সাহায্যের জন্য। অভিযোগ জানানোর জন্য সেল খোলা হয়েছে। মনোনয়ন সুষ্ঠু ভাবে করতে পুলিশ মোতায়েন থাকছে। রাজনৈতিক দলগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আচরন বিধি চালু হয়ে গেছে। বিজেপি কংগ্রেস বাম দল গুলোর এক যোগে আশঙ্কা প্রকাশ করে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস হতে পারে।

২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে অভিজ্ঞতা থেকে তাদের এই আশঙ্কা। যদিও শাসক দল তৃনমূলের দাবী দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ রয়েছে পঞ্চায়েত ভোটে কোনরকম অশান্তি করা যাবে না। বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন। আজ মনোনয়ন জমা দেবার প্রথম দিন জেলার কোনো অশান্তি হয়নি এটা তারই প্রমান। তৃণমূল নেতা বিকাশ রায় বলেন, আমরা চাই সুষ্ঠু নির্বাচন। মানুষ যাকে ভোট দেবে সে জিতবে। তা বলে বিরোধীরা যদি প্রার্থী না পায় আমরা তাদের প্রার্থী যোগার করে দিতে পারব না। বিজেপি নেতা স্বপন পাল বলেন, নির্বাচন প্রহসন হবে তার নমুনা পাওয়া গেছে এই ভাবে ভোটের দিন ঘোষনা করে মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিন অনেক জায়গায় মনোনয়ন পত্র পাওয়া যায়নি। সিপিএম এর মনোদীপ ঘোষ বলেন, নির্বাচন ঘোষনা তড়িঘড়ি করা হয়েছে। আগামী কাল থেকে যাতে সব জায়গায় মনোনয়ন জমা দিতে পারে সেটা দেখতে হবে। পুলিশের যারা শীর্ষ কর্তা তারা ছিলেন বৈঠকে। আমরা বলেছি গত পঞ্চায়েতের মত যেন না হয়।