এই মুহূর্তে জেলা

বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় হরিপালের চার যুবক, তিনজনের খোঁজ মিললেও একজন এখনও নিখোঁজ।

হুগলি, ৩ মে:- গত কাল করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেন দূর্ঘটনার কবলে পরে হুগলির হরিপাল থানার পানিশেওলা গ্রামের চার যুবক। রোহিত হেমব্রম। অতনু কিস্কু। গোপাল হেমব্রম ও তাপস কিস্কু কেরালায় কাঠের কাজ করতে যাচ্ছিল। গতকাল সকাল এগারোটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে হরিপাল স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে হাওড়া, সেখান থেকে শালিমার পৌঁছে করমন্ডল এক্সপ্রেস ধরে তারা। রাতে তাদের পরিবার খবর পায় ট্রেন দূর্ঘটনার কবলে পরেছে। এখনও পর্যন্ত তিনজনের খোঁজ পাওয়া গেছে। বালেশ্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একজনের খোঁজ পাওয়া যায়নি এখনো। নিখোঁজ গোপাল হেমব্রমের বাবা মানু হেনব্রম বলেন, গতকাল রাত সারে নটা নাগাদ দূর্ঘটনার খবর পাই। তারপর থেকে ছেলের সঙে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। কিন্তু কোনভাবেই যোগাযোগ করা যায়নি। ওর সঙ্গে তিন বন্ধু ছিল যারা গ্রামেরই ছেলে তাদের খোঁজ মিলেছে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আমিও বাইরে রাজমিস্ত্রির কাজ করতাম কিছুদিন আগে বাড়ি ফিরেছি। গোপাল ও আমার সাথে রাজমিস্ত্রির কাজ করতো। কি হলো বন্ধুদের সঙ্গে এখন বলল প্লাই বোডের কাজ করবে তাই কেরালা যাচ্ছিল। খবর পাওয়ার পর ওর মা গাড়ি ভাড়া করে উড়িষ্যায় রওনা দেয়।এখনো ছেলের কোনো খবর জানতে পারিনি। অতনু কিস্কুর মা ফুলি কিস্কু বলেন, এখানে কাজের বড় অভাব তাই কেরালায় কাঠের কাজ করতে যাচ্ছিল ওরা চারজন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রচন্ড ভয় পেয়ে যায়। ফোনে ছেলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করি। প্রথমে যোগাযোগ করতে পারিনি। পরে ছেলের সাথে কথা হয়। অতনু জানায় সে হাসপাতালে ভালো আছে কলা রুটি খেতে দিয়েছে।কিন্তু আমরা বুঝতে পারছি না কি রকম আঘাত লেগেছে। একই গ্রাম থেকে চার যুবক দূর্ঘটনা গ্রস্ত ট্রেনের সওয়ারী ছিল।তাই সকাল থেকে তাদের খবর জানতে তাদের বাড়ির সামনে গ্রামবাসীদের জটলা।