কলকাতা, ১৬ মে:- পূর্ব মেদিনীপুরের এগড়ায় মঙ্গলবার বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে প্রাণ গেছে ৯ জনের। আহত অন্ততপক্ষে ৭। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তাঁরা। ওই ঘটনায় মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং গুরুতর আহতদের পরিবারপিছু ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে এই ঘটনার তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন পাশাপাশি যদি এনআইএ ওই ঘটনা তদন্ত করতে চায় তবে তাঁর কোন আপত্তি নেই।
এগরার ঘটনা জানার পরেই এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা সহ বিরোধী নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলেছেন তাঁরা। এ বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘ওরা এনআইএ চাক না, আমাদের কোনও আপত্তি নেই। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’ ওই বাজি কারখানাটির বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এটি একটি বেআইনি বাজি কারখানা যার মালিক কৃষ্ণপদ বাগকে ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তারপর আদালত থেকে জামিন পান তিনি। এদিনের বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকেই পলাতক কৃষ্ণপদ।
ইতিমধ্যেই বিজেপি দাবি তুলেছে, কৃষ্ণপদ বাগ তৃণমূল কর্মী। তাতে মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা প্রশ্ন, তৃণমূলের লোক হলে গতবার কালীপুজোর সময় রাজ্য পুলিশ কেন গ্রেফতার করল ওঁকে? ইতিমধ্যেই সিআইএফ-এর এডিজি জ্ঞানবন্ত সিংকে ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, ‘ওটা ওড়িশার বর্ডার। ওই পঞ্চায়েত বিজেপির। ওদের দেখা উচিত ছিল। দু’মাস আগে নির্দলকে সভাপতি রেখে বিজেপি পঞ্চায়েত করেছে। মালিক পালিয়েছে ওড়িশায়। আমরা টেনে আনব।’ আইসিকে এ ব্যাপারে কৈফিয়ত দিতে হবে বলেও সাফ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঘটনাস্থলে যাবেন জলসম্পদ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। বুধবার রাজ্যের তরফে প্রতিনিধিদের একটি দল এগরার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যাবেন।