এই মুহূর্তে কলকাতা

কলকাতাকে জমা জলের হাত থেকে বাঁচাতে খাল সংস্কারের কাজ শীঘ্রই।

কলকাতা, ১৩ মার্চ:- বর্ষায় কলকাতা ও সন্নিহিত এলাকায় জল জমার সমস্যা নিরসনে রাজ্যের সেচ দফতর এই এলাকার ১৪ টি নিকাশি খাল পলিমুক্ত করার কাজ করছে।সেচ, পুরো নগরোন্নয়ন দপ্তর কলকাতা পুরসভার সহায়তায় কলকাতাকে জমা জলের সমস্যা থেকে মুক্ত করতে একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছে। তারই অঙ্গ হিসেবে নিকাশে খালগুলির সংস্কারের কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই ওই কাজের ৮০ শতাংশ সম্পন্ন বলে সেচ দফতর সূত্রে জানা গেছে। কাজ শেষ হলে আসন্ন বর্ষার মরশুমে কলকাতা ও বিধাননগর পুর এলাকা ছাড়াও উত্তর ও দক্ষিণ শহরতলীর বিস্তীর্ণ এলাকা জমা জলের সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রায় ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ বাগজোলা খাল ৩১ মার্চের মধ্যে পলি মুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। এর ফলে কলকাতার কাশিপুর বেলগাছিয়া অঞ্চল এবং সন্নিহিত কামারহাটি, বরানগর, উত্তর ও দক্ষিণ দমদম এবং বিধান নগরের একাংশের মানুষ উপকৃত হবেন।

প্রায় ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ কেষ্টপুর খালের সংস্কার এবং পুলি মুক্ত করার কাজেরও ৭৫ শতাংশের বেশি ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে এর ফলে কলকাতার শ্যামপুকুর, চিৎপুর, টালা, দমদম ও বিধান নগরের একাংশ ছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙ্গড় দু’নম্বর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা এবার বর্ষায় জলজমার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে বলে সেচ দপ্তরের কর্তাদের দাবি। এর পাশাপাশি ভাঙ্গড় কাটা খাল এবং পর্ণশ্রী ও মণি খাল সংস্কারের কাজ প্রায় শেষ হওয়ায় আগামী বর্ষার মরশুমে বেহালা ও মহেশতলা থেকে নিউ টাউন পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকার দীর্ঘদিনের জলজমার সমস্যার সমাধান হবে। ই এম বাইপাসের সংলগ্ন নিকাশি নালাগুলি সংস্কারের কাজের প্রায় ৭০ শতাংশ ইতিমধ্যে শেষ করা গেছে বলে সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। এর ফলে আনন্দপুর, গরফা, পাটুলি যাদবপুর থেকে শুরু করে টালিগঞ্জ হরিদেবপুর পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন। সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে যেহেতু বৃহত্তম কলকাতার নিকাশি ব্যবস্থা অধিকাংশই এই খাল গুলির উপর নির্ভরশীল। তাই শহরের নিকাশি ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে খাল গুলির আমূল সংস্কারের উপর সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।