এই মুহূর্তে কলকাতা

গঙ্গা আরতির আনুষ্ঠানিক সূচনা মুখ্যমন্ত্রীর।

কলকাতা, ২ মার্চ:- গঙ্গা আরতির স্বাক্ষী হতে আর হরিদ্বার বা বারাণসী যেতে হবেনা বাংলার মানুষকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে কলকাতার গঙ্গাঘাটেই চালু হচ্ছে নিয়মিত গঙ্গা আরতি। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাজে কদমতলা ঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়ে গঙ্গা আরতির আনুষ্ঠানিক সূচনা হল। আরতি শুরু হওয়ার আগে মা গঙ্গার মূর্তিতে অঞ্জলি দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাকে মন্ত্র উচ্চারণ করিয়ে অঞ্জলি দেওয়ান গঙ্গার ঘাটে থাকা পুরোহিত। দীর্ঘক্ষণ ধরে মা গঙ্গার মূর্তির সামনে মন্ত্র উচ্চারণ করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‌কাশিতে গঙ্গা আরতি দেখে এসেছিলাম। কলকাতাতেও গঙ্গা আরতির ব্যবস্থা করা হল। শীতকালে সন্ধ্যা ৬টায় এবং গরমকালে সন্ধ্যে ৭টায় গঙ্গা আরতি হবে।

পুজোয় বিসর্জনের সময় বাবুঘাটে গঙ্গা আরতি বন্ধ থাকবে।’‌ এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখান থেকে গঙ্গা আরতি যাতে সকলে দেখার সুযোগ পায় তার জন্য দর্শকদের বসার আসন তৈরি করার নির্দেশ দেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। সূর্যদেব এবং মা গঙ্গার মন্ত্র উচ্চারণ করে মুখ্যমন্ত্রী মা মাটি মানুষের জন্য মঙ্গল কামনা করেন। অন্যদিকে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‌কলকাতার ইতিহাসে আরও একটি নতুন পালক যুক্ত হল। কলকাতার বাবুঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে গঙ্গা আরতি শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই কাজ আজ বাস্তবে রূপ দিতে পেরে আমি আনন্দিত। গঙ্গা আরতিতে পর্যটকদের আগ্রহ বাড়বে।’‌ আর রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘‌আমি নিজে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। এখানে বহু মানুষ রোজ কালিঘাট, দক্ষিণেশ্বর, বেলুড় মঠে দর্শন করতে আসেন। তাই গঙ্গা আরতির এখানে সূচনা হওয়ায় পর্যটকরা বিশেষ উপকৃত হবেন।’‌