এই মুহূর্তে কলকাতা

হরিদ্বার-বারানসির ধাঁচে এবার কলকাতাতেও গঙ্গা আরতি।

কলকাতা, ১ মার্চ:- পর্যটকদের আকর্ষণ করতে হরিদ্বার-বারাণসীর ধাঁচে কলকাতায় গঙ্গা আরতি শুরু হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতার বাজে কদমতলা ঘটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উপস্থিতিতে গঙ্গা আরতির আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে। এর পর থেকে প্রতিদিন একই রকম ভাবে গঙ্গা আরতির আয়োজন করা হবে। উদ্বোধনের আগে কলকাতা পুরসভা এবং পুলিশের আধিকারিকেরা বুধবার বাজেকদমতলা ঘাটে অনুষ্ঠান স্থলে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন। জানা গেছে ইতিমধ্যে বাজেকদমতলা ঘাট গঙ্গা আরতির জন্য নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। নতুন আলো লাগানোর পাশাপাশি, ঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়ে বিশেষ বন্দোবস্ত করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গা আরতির সূচনা করে দিলে তা আগামী দিনে পর্যটকদের দেখার জন্য খুলে দেওয়া হবে। সঙ্গে একটি লেজার শোর আয়োজন করা হবে। পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে উপযুক্ত বন্দোবস্ত তৈরি করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী আগামীকাল গঙ্গাদেবীর একটি মন্দিরও উদ্বোধন করবেন বলে জানা গিয়েছে। গঙ্গা আরতির জন্য বাজেকদমতলা ঘাটে ১১টি মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে। এই ১১টি ঘাটে মোট ২২ জন পুরোহিত আরতি করবেন। গত বছর উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে বারাণসীতে গঙ্গা আরতি দেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে অংশগ্রহণ করতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ফিরে এসেই কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে কলকাতায় গঙ্গা আরতি শুরুর আয়োজন করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পরেই কাজ শুরু করেছিল কলকাতা পুরসভা। বৃহস্পতিবার থেকে সেই গঙ্গা আরতি শুরু করা সম্ভব হচ্ছে। অনুষ্ঠানের সূচনা পর্বে হাজির থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী, মেয়র, মেয়র পরিষদ নিকাশি-সহ কলকাতা পুরসভার শীর্ষ আধিকারিকেরা। গত এক সপ্তাহ ধরে গঙ্গা আরতির মহড়া চলেছে বাজেকদমতলা ঘাটে। যাবতীয় প্রস্তুতি চূড়ান্ত দেখে বৃহস্পতিবার গঙ্গা আরতি সূচনার দিন ঠিক করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মেয়র ফিরহাদ বাজেকদমতলা ঘাটের প্রস্তুতি পরিদর্শন করে এসেছেন। পাশাপাশি, কলকাতা পুলিশের তরফেও পৃথক ভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হয়েছে।