কলকাতা, ১১ ডিসেম্বর:- একাংশের টেট পরীক্ষার্থীর বায়োমেট্রিক হাজিরা নিয়ে সমস্যা হওয়ায় তাঁদের আশ্বস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ওই পদ্ধতিতে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিতি নথিবদ্ধ না হলেও পরীক্ষার্থীদের কোন সমস্যা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। এদিন বেশ কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে মেশিনে গণ্ডগোল দেখা দেওয়ায় অনেক পরীক্ষার্থী বায়োমেট্রিক করাতে পারেননি। বায়োমেট্রিক বিভ্রাট নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার দেশপ্রিয় পার্ক এলাকার তীর্থপতি ইনস্টিটিউশনে পরীক্ষা শেষের পর বিক্ষোভ দেখান পরীক্ষার্থীদের একাংশ। এতে তাঁদের পরীক্ষা বাতিল হয়ে যেতে পারে বলে প্রার্থীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেন। পরীক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, টেট পরীক্ষা শুরুর আগে মাত্র কয়েকজনের বায়োমেট্রিক করা হয়েছিল। মেশিন বিভ্রাটের কারণে অন্যদের পরীক্ষার পরে বায়োমেট্রিক করানোর কথা বলা হয়েছিল। পরীক্ষা শেষের পর দীর্ঘক্ষণ কেটে গেলেও তা সম্ভব হয়নি বলে ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ। এই বিষয় নিয়ে তাদের আশ্বস্ত করেছেন পর্ষদ সভাপতি।
পরীক্ষার পর সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, সবকটি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের মুখের ছবি রয়েছে। এছাড়া পরীক্ষার্থীদের আধার কার্ড-ও পর্ষদের কাছে রয়েছে বলে জানিয়েছেন গৌতমবাবু। তিনি বলেন, যে সব পরীক্ষার্থীর ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া হয়নি, তাঁদের বিচলিত হওয়ার কারণ নেই। পরীক্ষার ক্ষেত্রে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হবে না। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, কোনো পরীক্ষার্থীর প্রতিই বৈষম্য করা হবে না। এদিকে টেট পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার পিছনে মুখ্যমন্ত্রীর অবদানের জন্য তাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। পরীক্ষা শেষ হওয়ার কয়েক ঘন্টা পর সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে পর্ষদ সভাপতি জানান, নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান অনস্বীকার্য।প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি এদিন মুখ্যমন্ত্রীর পরেই ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। শিক্ষামন্ত্রী সর্বদা পর্ষদকে সহযোগিতা করেছেন বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদিকেও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি। পাশাপাশি রাজ্য পুলিশ, কলকাতা পুলিশ-সহ রাজ্য সরকারের সমস্ত দফতরকেও ধন্যবাদ জানান পরীক্ষায় সহযোগিতা করার জন্য।