এই মুহূর্তে জেলা

ফের দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা চুঁচুড়ায়।

সুদীপ দাস, ৯ ডিসেম্বর:- ফের দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটলো চুঁচুড়ায়। তবে এবার দেয়াল কেটে নয়, এবারে সরাসরি দরজা কেটে। দু’দিন আগেই চুঁচুড়া শহরে দেওয়াল কেটে একটি মোবাইলের দোকানে লক্ষ-লক্ষ টাকার মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এবারে হুগলী চুঁচুড়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড এর মহেশতলায় একটি বাড়ির দরজা কেটে রাত ৯টা নাগাদ দুঃসাহসিক চুরি। ঘরের তালা,দরজা, আলমারি ভেঙ্গে জিনিসপত্র নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। তবে বাড়ির মালিক বাড়িতে না থাকায় আনুমান করা যাচ্ছে না কতটা জিনিস চুরি হয়েছে। চুঁচুড়া মহেশতলার বাসিন্দা ইন্দ্রদেব ব্যানার্জী বৃহস্পতিবার তার পরিবার নিয়ে তিরুপতির বেড়াতে যান। এবং যাবার আগে তার পরিচিত এক ব্যক্তিকে রাত্রে তার বাড়িতে থাকতে বলে যায়, কথামতো বালির মোড়ের বাসিন্দা দিলিপ রায় তার পরিচিতর বাড়িতে রাতে ৯টা নাগাদ শুতে এলে দেখতে পায় দরজা ভাঙ্গা…

তড়িঘড়ি তিনি ভেতরে না গিয়ে সোজা চলে যান ন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুপর্না সেনের এর কাছে, প্রায় ঘন্টাখানেক পরে এলাকার বাসিন্দারা দেখতে পায় সেই বাড়ি থেকে চোর দৌড়ে পালাচ্ছে, সকলে চেঁচামেচি করলেও চোরকে ধরতে পারা যায়নি,ঘটনাস্থলে চুঁচুড়া থানার পুলিশ আসে রাত্রি এগারোটা নাগাদ, এখন আসল ঘটনা হলো এই যে পুলিশকে ঠিক সময় ফোনই করা হয়নি, এলাকার মানুষের প্রশ্ন একটাই একজন জন প্রতিনিধিকে নটার সময় জানানোর পর পুলিকে ঠিক সময় কেন জানানো হয়নি। তাই নাকের ডগায় পুলিশের আসতে লেগে গেল প্রায় দু’ঘণ্টা সময়। এলাকার মানুষের ক্ষোভ ঠিক সময়ে পুলিশকে খবর দিলে হয়তো চোর ধরা পড়ে যেত। সম্প্রীতি দুদিন আগেই একটা বড় মোবাইলের শোরুমে দেয়াল কেটে চুরি হবার পর এরকম জনবহুল এলাকায় বাড়ির দরজা ভেঙ্গে চুরি ঘটনায় আতঙ্কিত চুঁচুড়ার মানুষ।