এই মুহূর্তে কলকাতা

সাময়িক স্বস্তি, এখনই বসিয়ে দিতে হবে না পনেরো বছরের পুরনো গাড়ি।

কলকাতা, ৮ ডিসেম্বর:- সাময়িক স্বস্তি বেসরকারি পরিবহন মালিকদের। এখনই বসিয়ে দিতে হবে না ১৫ বছরের পুরনো গাড়ি। জাতীয় পরিবেশ আদালত ১৫ বছরের পুরাতন সব গাড়ি বাতিল করার যে নির্দেশ দিয়েছিল তাকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। সেই মামলাতেই মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, বিএস থ্রি থেকে বিএস সিক্স গাড়িতে পরিণত করার মতো নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে মামলাটি খারিজ হয়ে যাচ্ছে। মামলাটির পরবর্তী শুনানি হতে চলেছে আগামী ২৩ জানুয়ারি। সেই সঙ্গে ওই মামলায় পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তকেও নোটিস পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। কেননা তাঁর করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই গত জুলাই মাসে জাতীয় পরিবেশ আদালত বা ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল রায় দিয়েছিল যে, পরিবেশ দূষণ এড়াতে আগামী ছ’মাসের মধ্যে ১৫ বছরের পুরনো গাড়ি বাতিল করতে হবে। আর এর জেরেই গণপরিবহণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এখন সুপ্রিম কোর্টের মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পরিবেশ আদালতের রায় কার্যকর হবে না।

গণপরিবহণের ক্ষেত্রে বড় মাধ্যমই হল বেসরকারি বাস পরিষেবা। গত জুলাই মাসে জাতীয় পরিবেশ আদালত যে রায় দিয়েছিল তাতে করে এই সব বেসরকারি বাসগুলির একটা বড় অংশকেই বসিয়ে দিতে হত জানুয়ারি মাসের মধ্যে। কিন্তু সেক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ মানুষকে শুধু যে হয়রানির শিকার হতে হতো তাই নয়, অর্থনৈতিক ভাবেও তাঁদের বড়সড় ধাক্কা খেতে হত। কিন্তু এখন দেশের শীর্শ আদালত সেই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ায় এখনই ১৫ বছরের পুরাতন গাড়ি বাতিল হচ্ছে না বাংলার বুকে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষেণ কওল এবং বিচারপতি অভয় এস ওকার বেঞ্চ এই স্থগিতাদেশ দিয়েছে এবং আগামী দিনে এই বেঞ্চেই মামলাটির শুনানি চলবে। এই বিষয়ে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বুকে দূষণ থেকাতে পরিবেশবান্ধব গাড়ি চালানোর ওপর জোর দিয়েছেন। সেই সূত্রেই এখন কলকাতার বকে ইলেকট্রিক বাস বা ই-বাস চালানোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এখনই সব পুরনো গাড়ি বাতিল করে দিলে পরিবহণে সমস্যা হবে। তাই সুপ্রিম কোর্টের কাছে সময় চাওয়া হয়েছিল। আদালত তা মঞ্জুর করায় আমরা কৃতজ্ঞ।’