এই মুহূর্তে জেলা

চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর দাবিতে পৌরসভার সামনেই ধর্না কংগ্রেস নেত্রীর।

সুদীপ দাস, ১৮ নভেম্বর:- চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর দাবিতে পৌরসভার সামনে ধর্না কংগ্রেস নেত্রীর। ঘটনাটি হুগলী-চুঁচুড়া পৌরসভার। এই পৌরসভায় বিগত দিনের ট্যাক্স কালেক্টর পদে কর্মরত মনিকা শীল গত ৩১শে অক্টোবর অবসর গ্রহন করেছেন। মনিকাদেবীর বক্তব্য তিনি প্রদেশ মহিলা কংগ্রেসের সম্পাদিকা পদে বহাল রয়েছেন। ছাত্র রাজনীতি থেকেই জাতীয় কংগ্রেসের সাথে যুক্ত। শুধুমাত্র কংগ্রেস করেন বলেই তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড তাঁর চাকরির মেয়াদ বাড়ায়নি। তিনি বলেন শুরু থেকেই তিনি রাজনীতির শিকার। যার জেরে ১৯৮৫সালে হুগলী-চুঁচুড়া পৌরসভায় চাকরিতে ঢুকলেও স্থায়ী হতে দীর্ঘ ২১বছর সময় লেগেছে। ২০০৬সাল থেকে ২০২২সাল পর্যন্ত সরকারের স্থায়ী কর্মচারি হিসাবে তিনি এই পৌরসভায় দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। মনিকাদেবী বলেন স্থায়ী চাকরির মেয়াদ কম হওয়ায় তাঁর অবসরকালীন পেনশিয়ান মাসিক মাত্র নয় হাজার টাকা।

এই টাকাতে বাড়িতে অসুস্থ মা ও বোনকে নিয়ে তাঁর সংসার চালানো দায় হয়ে যাচ্ছে। তাই যতক্ষন না সরকার ট্যাক্স কালেক্টরের পদে অন্য কাউকে পাঠাচ্ছে ততক্ষন তাঁকে মাসিক ১০হাজার টাকা বেতনের বিনিময়ে অস্থায়ী হিসাবে রাখা হোক বলে আবেদন জানান। মনিকাদেবীর অভিযোগ এই পৌরসভা একাধিক অবসরপ্রাপ্ত কর্মীকে একইভাবে চাকরিতে বহাল রাখলেও তিনি কংগ্রেস করেন বলে নেওয়া হচ্ছে না। শুক্্রবার থেকে তাই মনিকা শীল পৌরসভার উল্টোদিকে ধর্নায় বসে পড়লেন। সংসার চালানোর জন্য পয়সাও দরকার। তাই ৫/১০ টাকার বিনিময়ে পৌরসভায় বিভিন্ন কাজে আসা সাধারণ মানুষদের আবেদন পত্রও পূরণ করে দিচ্ছেন। যদিও মনিকাদেবীর তোলা রাজনৈতিক শিকারের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েই পৌরপ্রধান অমিত রায় বলেন উনি শারিরীকভাবে অসুস্থ। আর প্রয়োজন ছাড়া সকলের চাকরির মেয়াদ বাড়ানো যায় না।