কলকাতা, ৩ নভেম্বর:- ভিন রাজ্য থেকে চোরা গোপ্তা পথে রাজ্যে ঢুকছে নিষিদ্ধ বাজি। রাজ্যে স্বীকৃত সবুজ বাজির যোগান যথেষ্ট পরিমাণে না থাকা প্রতিবেশী রাজ্যের বাজির ওপর মানুষের নির্ভরতা বাড়াচ্ছে। বেআইনি বাজি কারবারের পথও প্রশস্ত করছে। এবারের উৎসবের মরশুমে প্রশাসনের অন্তর তদন্তে এই তথ্য উঠে এসেছে। এবার ভিন রাজ্যের বাজির ব্যবহার সম্পূর্ন ভাবে বন্ধ করতে রাজ্য সরকার রাজ্যেই স্বীকৃত সবুজ বাজির উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। পরিবেশ মন্ত্রী মানস ভূইঁয়া বলেন, আমাদের বাজি ব্যবসায়ীরা সবুজ বাজি সম্পর্কে তেমন অবহিত নন। এরাজ্যে ওই সব বাজি তেমন তৈরিও হয়না। এই সুযোগেই অন্য রাজ্য থেকে বাজি আমদানি হচ্ছে। সেই সঙ্গে নিষিদ্ধ বাজিও চলে আসছে। এটা আটকাতে আমরা বাংলার বাজি নির্মাতাদের বলছি আপনারা সবুজ বাজি তৈরি করুন। লাইসেন্সের জন্য আবেদন করুন। সব দিক খতিয়ে দেখে লাইসেন্স দেওয়া হবে। এতে একদিকে যেমন বাইরের থেকে বাজি আসা বন্ধ হবে। তেমনি বাজি উৎপাদকরাও দায়বদ্ধ থাকবেন।
সবুজ বাজি হল পরিবেশ বান্ধব বাজি, যা কম দূষণকারী কাঁচামাল ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। এই বাজিতে পরিবেশ দূষণ অনেকটাই কম হয়। কাউন্সিল অফ সাইন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ড্রাস্টিয়াল রিসার্চ এবং ন্যাশনাল এনভায়রমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের যৌথ গবেষণায় এই বাজির উৎপত্তি। গবেষকরা জানাচ্ছেন, শব্দ বাজির থেকে এই বাজি ৩০ শতাংশ কম দূষণ করে। এই বাজির ব্যবহারে একদিকে যেমন পরিবেশ দূষণ কম হবে একই সঙ্গে আবহাওয়া পরিবর্তনও অনেকটা আটকানো যাবে।এই বাজি তৈরির ক্ষেত্রে কিছু বিধি রয়েছে। সবুজ বাজি তৈরি করার ক্ষেত্রে বোরিয়াম নাইট্রেট নামে কেমিক্যাল থাকতে পারবে না। সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম নাইট্রেট থাকতে পারে নির্দিষ্ট বেধে দেওয়া মাত্রায়। রাজ্যে শুধু এই বাজিই পোড়ানো যাবে। সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রকের পাশাপাশি পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভ সেফটি অর্গানাইজেশনের মতো সংস্থাও এই বাজি পোড়ানোয় অনুমতি দিয়েছে। এবার রাজ্যে সরকারি উৎসাহে এই বাজির উৎপাদন বাড়লে তাতে নিষিদ্ধ বাজি ব্যবহারের প্রবণতা অনেকটাই কমবে বলে পরিবেশবিদরা মনে করছেন।