কলকাতা, ২৪ অক্টোবর:- ঘূর্ণিঝড় এবং ভরা কোটাল এর প্রভাবে গঙ্গার জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় সোমবার দুপুর থেকেই কলকাতা ও হাওড়ার মধ্যে লঞ্চ পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হল। এর জেরে বিপাকে পড়েন দক্ষিণেশ্বর কালীঘাটে পুজো দিতে আসা ভক্তরা। মঙ্গল বার ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে বলে পরিবহন দফতর সূত্রে জানা গেছে। কলকাতার পাশাপাশি সাগর,হলদিয়া ,ডায়মন্ড হারবার ,কুকরাহাটির ফেরি পরিষেবা বন্ধ রাখা হচ্ছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় জনিত পরিস্থিতির মোকাবিলায় কসবায় পরিবহন দপ্তরের সদর কার্যালয় বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।মিলেনিয়াম পার্ক এবং কচুবেড়িয়াতেও আলাদা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ওই কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বর- ০৩৩-২৪৪ ২০২৭৮। পরিবহন দপ্তরের কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তাদের সব রকম পরিস্থিতি মোকাবেলায় তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। পরিবহন মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান,ঘূর্ণিঝড় আসতে চলেছে। এ রআগে যতবার এই রকম ঘটনা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী নবান্নতেসব রকমের সতর্কতা ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। তার নির্দেশে আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেপরিবহনমন্ত্রী বলেন, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের নির্দেশে আমরা প্রত্যেক মুহূর্তের আপডেট পাচ্ছি। আমরা সতর্ক রয়েছি। পরিবহন দফতর সতর্ক রয়েছে ও সব রকমের ব্যবস্থা নিচ্ছে।পরিবহন দফতরে বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ২৪ ঘন্টা মনিটরিং করা হবে, এবং কোন সমস্যা হলে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে, দাবি পরিবহন মন্ত্রীর।নদীগুলিতে যেসব ভেসেল ও অন্য নৌকা চলে সেগুলো বন্ধ রাখা হবে। সুন্দরবন ও সাগর এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হবার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে আছড়ে পড়লেও দুই ২৪ পরগনা ও উপকূলবর্তী এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। ছটি ভেশন রয়েছে সেগুলিকে সরিয়ে নেওয়া হবে। উপকূলী এলাকায় প্রচার করা হচ্ছে, মাইকিং করে মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে।গঙ্গাবক্ষে লঞ্চ চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রাখা হবে এবং নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করা