এই মুহূর্তে জেলা

বাদ সরকারি নীল-সাদা, পুরনো সাদা-লালেই ক্লাস হুগলী গার্লসে।

সুদীপ দাস, ১৭ অক্টোবর:- একেই বলে বোধহয় বিপ্লবের জয়। সরকারি নীল-সাদা পোশাক নিয়ে প্রশ্ন তুলে শ’য়ে-শ’য়ে মানুষের সামনে বিধায়কের ধমক শুনতে হয়েছিল হুগলী গার্লস হাই স্কুলের অভিভাবক সোমা ঘোষকে। বিধায়ক সকলের সামনে কটাক্ষ করে বলেছিলেন আপনি অনেক বড় বিপ্লবী হয়ে গেছেন আমি বুঝেছি। এবার বসে পরুন। বিধায়ক বলেছিলেন সরকারি স্কুল সরকারের নিয়ম-কানুন মানতে হবে, না হলে মেয়েকে বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়ামে নিয়ে যেতে পারেন। ঘটনার পর চরম অপমানিত বোধ করে কান্নায় ভেঙে পরেছিলেন সোমাদেবী। সোমাদেবীর পাশে দাঁড়িয়ে অন্যান্য অভিভাবকরাও সরকারের দেওয়া নীল-সাদা ইউনিফর্মের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। গত শনিবারের পর মাঝে একটা ছুটির দিন রবিবার গেছে। অর্থাৎ তারপর আজ সোমবার থেকেই শুরু হল স্কুল।

আজ পরিকাঠামোগত বিষয় খতিয়ে দেখতে ফের বিদ্যালয়ে হাজির হন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। সেখানে গিয়ে দেখা গেল নির্দ্বিধায় বিদ্যালয়ের সাবেকি লাল-সাদা ইউনিফর্ম পরেই ক্লাস করছে ছাত্রীরা। লাল-সাদা ইউনিফর্ম পরিহিত ছাত্রীদের সাথে কথাও বলেন বিধায়ক। তবে পোশাক নিয়ে এদিন ছাত্রীদের সাথে কোন কথা বলেননি তিনি। তবে কি সরকারি নীল-সাদা বন্ধ হয়ে গেল? বিতর্কিত পোশাক নিয়ে কিন্তু এদিন বিধায়কের সুর অনেকটাই নরম ছিল। তিনি বলেন মেয়েদের শালীনতায় আঘাত লাগে, এমন পোশাক নিয়ে ভাবতে হবে, পোশাকে আপাতত আমরা পুরনো সিস্টেমে ফিরছি। নীল-সাদার বিষয়টি পরে দেখা যাবে। বিধায়কের কথা যদি সত্যিই হয়, সোমাদেবী যদি বিপ্লবী-ই হন, তাহলে আজ বলতেই হয় বিপ্লবের জয় হল। সরকারি নীল-সাদাকে হারিয়ে হুগলী গার্লসে ফিরলো সাবেকি লাল-সাদা ইউনিফর্ম।