এই মুহূর্তে জেলা

শেওড়াফুলিতে কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দলকে ঢুকতে বাধা।

হুগলি, ১৪ অক্টোবর:- শেওড়াফুলিতে মৃত নাবালিকার পরিবারের সাথে কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দলকে ঢুকতে বাধা ও কালো পতাকা দেওয়ার অভিযোগ এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপারসনের সঙ্গে আইনজীবী তথা বিজেপি নেত্রী খড়পাড়ায় মৃত নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান সেখানে তাকে তাদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিক্ষোভে শেওড়াফুলি 14 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শম্পা সরকার তাকে দেখা যায়। দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ ।দুপক্ষকে সড়িয়ে দেয়। উল্লেখ্য, নবমীর রাতে ঠাকুর দেখতে বেড়িয়ে নিখোঁজ হয়ে ছিল শেওড়াফুলি খড় পাড়ার এক নাবিলিকা। পরের দিন হাওড়া তারকেশ্বর রেললাইনের শেওড়াফুলি থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল শেওড়াফুলি জিআরপি। খুনের অভিযোগদায় করে পরিবার। ৫ দিন কোলকাতা সরকারি হাসপাতালে থাকার পর। শেওড়াফুলি জিআরপি থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। এদিন প্রথমে তিনি জাঙ্গিপাড়ার মৃত নাবালিকার পরিবারের সাথে দেখা করে ফেরার পথে শেওড়াফুলি আছেন সেখানে তাকে কালো পতাকা ও ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তার এরপরে সেখান থেকে তিনি যান শ্রীরামপুর এসডিও অফিসে সেখানে জাঙ্গিপাড়া ও শেওড়াফুলি দুটি বিষয় নিয়েই পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

প্রিয়াঙ্কা বলেন, জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপারসনের সহ আমাকে কালো পতাকা দেখানো হয়। আমি সেখানে একজন আইনজীবী হিসেবে গিয়েছিলাম। কাউন্সিলর নিজে ওই জায়গায় দাঁড়িয়ে কালো পতাকা দেখাচ্ছে। কারণ তারা চাইছে না, যে ঘটনা ঘটেছে তার সঠিক তদন্ত হোক। কারণ যে করেছে তার নাম শেখ রাজু। তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক অরিন্দম গুই তিনি জানান, 14 নম্বর ওয়ার্ডের যে নাবালিকা তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল রেল লাইনের ধারে, সেটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এলাকার মানুষ ও আমরা সেই পরিবারের সঙ্গে রয়েছি। এটা নিও রাজনীতি করা হচ্ছে। মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিজেপি বহু ঘটনা ঘটাচ্ছে ।তারা বারবার এখানে এসে এলাকাকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে। সাধারণ মানুষ সেখানে প্রতিবাদ জানায়। সাধারণ মানুষের বক্তব্যই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিজেপি রাজনীতি করতে আসছে। আমরা তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাই। বিজেপি পশ্চিমবাংলায় কোনো স্থান পাচ্ছে না তাই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তারা রাজনীতি করছে। অপরাধীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, সে সাজা পাক সেটা আমরা চাই। কিন্তু আমরা রাজনীতি করতে চাই না।